‘তারেক-জোবাইদার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ সরকারের হিংসাত্মক আচরণ’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি আদালত কর্তৃক ক্রোকের আদেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ- বিএসপিপি।
বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাজনীতির মাঠ থেকে প্রধান প্রতিপক্ষকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখলে রাখার অসৎ উদ্দেশে সরকার এমন নোংরা নীতি গ্রহণ করেছে। একটা সভ্য রাষ্ট্রে সরকারের এমন হিংসাত্মক আচরণ কল্পনাও করা যায় না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত তদারকি সরকারর সময় দেশকে রাজনীতি শূন্য করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ঢালাওভাবে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেওয়া হয়। গণতন্ত্রহীন ওই সময়ে ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল, তা ছিল সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতির অন্ধকার সময়ের একটি ভুয়া মামলাকে ব্যবহার করে দেশের সবচেয়ে জননন্দিত দলের শীর্ষ নেতার সম্পত্তি ক্রোকের উদ্যোগ নেওয়া হলো। দেশে যে একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে এটি তার উজ্জল প্রমাণ। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন পর ভিত্তিহীন মামলাকে পুঁজি করে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা সরকারের ইঙ্গিতেই হয়েছে।’
পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, ‘এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০০৭ সালের জরুরি সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরই সেই মামলাগুলো উধাও হয়ে যায়। অপর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ওই মামলা গুলো ব্যবহার করে অবর্ণনীয় নিপীড়ন চালানো হয়। আমরা অভিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’