উগ্রবাদী সংগঠন আইএসের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেন, পশ্চিমারা এতোটাই মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড যে মুখে তারা মানবাধিকারের শ্লোগান দেয়, কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন বিপজ্জনক উগ্রবাদী গোষ্ঠী গড়ে তোলে। ইরানের শাহচেরাগে উগ্রবাদী হামলার ঘটনার মূল হোতা দায়েশ বা আইএস। তবে তারা ছাড়াও এর মূল পৃষ্ঠপোষকরা ও আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতারা, অর্থাৎ আমেরিকা ও এর সহযোগীরা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তেহরানে (শাহচেরাগ মাজারে) উগ্রবাদী হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শাহচেরাগ (আ.) এর পবিত্র মাজারে মর্মান্তিক উগ্রবাদী হামলা মানুষের হৃদয়কে দুঃখ ভারাক্রান্ত করেছে। তবে তা ইরানের ইতিহাসে লেখা থাকবে। এসব শয়তানির পেছনের শক্তি অর্থাৎ আইএস’-এর প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকার ভূমিকা সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, অন্যান্য উগ্রবাদী হামলার সঙ্গে শাহচেরাগের সন্ত্রাসী হামলার পার্থক্য রয়েছে। কখনও কখনও সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এটা এক ধরনের বিষয়। কখনও জিয়ারতকারীদের ওপর হামলা চালানো হয় যাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক কোনো সম্পর্ক নেই। এটা হলো আল্লাহর সঙ্গে নৈকট্য অর্জনের স্থান।
আয়াতুল্লাহ খামেনি আরও বলেন, আমেরিকা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে তারা দায়েশ (আইএস)-কে সৃষ্টি করেছে, কিন্তু তারা লোক দেখানোর জন্য মানবাধিকারের ঝাণ্ডা হাতে ধরে আছে এবং নারী অধিকারের কথা বলছে। তারা শাহচেরাগের উগ্রবাদী ঘটনায় তাদের আসল চেহারা ফাঁস হয়ে গেছে এবং তারা অপদস্থ হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর ইরানের শিরাজ শহরে হজরত আহমাদ বিন মূসার (আ.) মাজারে উগ্রবাদী হামলায় দুই শিশুসহ ১৩ জন জিয়ারতকারী নিহত ও ৩০ জন আহত হন। সূত্র : প্রেস টিভি