আমি মনে করি জনগণ হবে একটা দেশের মালিক, জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক।

0

জনগণের খেদমত এবং তাদের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলে জানিয়েছেন আসন্ন সিটি নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইশরাক বলেন, গত ১৮ দিন ধরে আপনারা আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজ নিরলসভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন, সেজন্য আমি সাংবাদিক ভাইবোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের ধারণায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি জনগণ হবে একটা দেশের মালিক, জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক।

তিনি বলেন, আপনার জানেন ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকা এক নম্বরে রয়েছি। কিছুদিন আগে নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই তালিকায়ও ঢাকা ছিল এক নম্বরে।

ইশরাক হোসেন জানান, আমি ঢাকার সন্তান। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই সমস্যাগুলোর মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। এ সমস্যাগুলো আমার জানা রয়েছে। আমাকে বিএনপির পক্ষ থেকে একটা গুরুদায়িত্ব দেয়া হয়েছে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার। আমি আপনাদের বলতে চাই, এই শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য যা যা করণীয় আমি সব করব। আমার জীবন উৎসর্গ করবো জনগণের খেদমত এবং নগরবাসীর উন্নয়নে।

বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।

গতকাল রোববার তার প্রচারণায় হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, আপনারা জানেন গত ১৮ দিন ধরে আমি শান্তিপূর্ণভাবে আমার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলাম। বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি। সবাই আমাকে খুব গ্রহণ করেছে। ওইসব এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থিত কাউন্সিলরদের সাথে আমি দেখা করেছি, কথা বলেছি, মতবিনিময় করেছি।

কিন্তু, গতকাল প্রচারণা শেষে ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে দিয়ে আসার সময় বাসার ছাদ থেকে অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন সাংবাদিকসহ ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।

বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিশ্বাসী উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, আমাদের দল বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে বিশ্বাস করে। তাই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হোক আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি এবং চাই। ইভিএম নিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় জানানো হয়েছে। সেটাতে স্পষ্ট পরিষ্কার হয়েছে যে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপি এবং জালিয়াতি সম্ভব। তারপরও আমরা যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দল তাই আমরা নির্বাচনে থাকবো এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

গতকালের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা গতকাল থেকে আশঙ্কা করেছিলাম যে, আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করবে। সেটাই হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় পাঁচ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়ারী থানায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটা মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গতকাল আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রতি আহবান জানাবো নির্বাচনের প্রচারণা সমানভাবে করার সুযোগ আমাদের দেয়া হোক। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডেইলি অবজারভার এর সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com