আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের ধারণায় বিশ্বাস করি।
জনগণের খেদমত এবং তাদের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সোমবার, জানুয়ারি ২৭, ২০২০, জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, গত ১৮ দিন ধরে আপনারা আমার নির্বাচনী প্রচারণার কাজ নিরলসভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছেন, সেজন্য আমি সাংবাদিক ভাইবোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের ধারণায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি জনগণ হবে একটা দেশের মালিক, জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক।
তিনি বলেন, আপনার জানেন ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে অযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে উঠেছে। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকা এক নম্বরে রয়েছি। কিছুদিন আগে নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, সেই তালিকায়ও ঢাকা ছিল এক নম্বরে।
আমি ঢাকার সন্তান। এখানে আমার বেড়ে ওঠা। এই সমস্যাগুলোর মধ্য দিয়ে আমি বেড়ে উঠেছি। এ সমস্যাগুলো আমার জানা রয়েছে। আমাকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে একটা গুরুদায়িত্ব দেয়া হয়েছে আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার। আমি আপনাদের বলতে চাই, এই শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য যা যা করণীয় আমি সব করব। আমার জীবন উৎসর্গ করবো জনগণের খেদমত এবং নগরবাসীর উন্নয়নে।
ইশরাক আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। যেখানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।
তিনি বলেন, আমরা গতকাল থেকে আশঙ্কা করেছিলাম যে, আমাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করবে। সেটাই হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় পাঁচ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়ারী থানায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটা মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের প্রতি আহবান জানাবো নির্বাচনের প্রচারণা সমানভাবে করার সুযোগ আমাদের দেয়া হোক। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডেইলি অবজারভার এর সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।