নির্বাচনী প্রচার: যুক্তরাষ্ট্রে এক রাজ্যে বাইডেন-ওবামা-ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতো ভোটারদের একই বার্তা দেবেন, এমন ঘটনা বিরল। কিন্তু শনিবার দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়ায় এমন ঘটনাই ঘটেছে।
৮ নভেম্বর মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও উচ্চকক্ষ সিনেটের মধ্যবর্তী নির্বাচন। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতে এবং সিনেটের ৩৫টি আসনে প্রার্থী বাছাই হবে। নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেন্সিলভেনিয়ায় গিয়েছেন দেশটির বর্তমান ও সাবেক দুই রাষ্ট্রপতি; এবং তিনজনই জনগণকে একই বার্তা দিয়েছেন— ‘ভোট দিন।’
পাশাপাশি ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচন নিয়ে নিজ নিজ দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন তারা। বাইডেন এবং ওবামা এই নির্বাচনকে বলেছেন ‘গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই’, অন্যদিকে ট্রাম্পের ভাষ্য— এই নির্বাচন হলো যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা রক্ষার ‘অগ্নিপরীক্ষা’।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি যথেষ্ট ভোট না পেলে কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। সেক্ষেত্রে উভয় কক্ষই বিরোধী রিপাবলিকান দলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তেমন হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য কোনও কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে নতুন কোনো আইন সহজে পাস করতে গেলে বাইডেনের জন্য কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ পাওয়া জরুরি।
দুই দলের জন্যই ভোট আদায়ে পেনসিলভেনিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। এ রাজ্যে সিনেট নির্বাচনে খুব কম ব্যবধানে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্রার্থী- ডেমোক্র্যাট জন ফেটারম্যান এবং রিপাবলিকান মেহমেত ওজ।
তাদেরকে জিতিয়ে আনতেই সেখানে প্রচার চালাতে মাঠে নেমেছেন নিজ নিজ দলের তিন নেতা- ট্রাম্প, ওবামা এবং বাইডেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, মধ্যবর্তী এই নির্বাচনকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।
২০১৬ সালে এই পেনসিলভেইনিয়াতে জয় পেয়েই ট্রাম্প পৌঁছে গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে। আবার ২০২০ সালে এই রাজ্যেই জয়ী হয়েই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন।
সূত্র : বিবিসি