আওয়ামী লীগ ৭৫ এ বাকশালের নামে ‘গণতন্ত্র’ ধ্বংস করেছিল: মির্জা ফখরুল
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন , ’৭৫ এর বাকশালকে বাতিল করে তিনি (জিয়াউর রহমান) বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ৭৫ এ বাকশালের নামে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। আর এখন গণতন্ত্রের নামে একনায়ক তন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘এ বছর আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন ভাই বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। পুলিশের গুলির সামনে বুক মেলে দিয়েছেন। তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। তাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে আমরা যে শপথ নিয়েছি, সে শপথে আমাদেরকে অটুট থাকতে হবে।’
ছাত্রলীগকে সোনার ছেলে কটূক্তি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আসার পথে শুনলাম সোনার ছেলেরা নাকি আমাদেরকে বাধা দেবে! সামনে আসা মাত্র তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের ছেলেরা তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের জয়। আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষ কোন বাধা মানে না, মানবে না।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়সালা হবে রাজপথে এমন মন্তব্য করে মহাসচিব বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ’৭৫ বাকশালকে বাতিল করে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ’৭৫ এ বাকশালের নামে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। আর এখন গণতন্ত্রের নামে একনায়ক তন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য কাজ করেছেন।
আওয়ামী লীগ চোরের দল মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ কথা আমি বলিনি, এটা বলেছেন, তাদের নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান। দুর্নীতি- চুরি আওয়ামী লীগের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য । এরা চুরির-সন্ত্রাস ছাড়া কিছু বোঝে না। এরা হুংকার দেয়, তাদের হুঙ্কারে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যে ঢেউ উঠেছে থামাতে পারবে না।
বর্তমান সরকারের আমলে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না মন্তব্য ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের লোকদের স্বাক্ষর ছাড়া বা টাকা ছাড়া কোন চাকরি হয় না। ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয় তাহলে চাকরি হয়। এরা (আওয়ামী লীগ) বিচার ব্যবস্থাকে দলীকরণ করেছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। এখন পার্লামেন্টে কোন আলাপ আলোচনা হয় না। তারা শুধু ফ্ল্যাট আর গাড়ি নেয়, জনগণের টাকা দিয়ে তারা সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে বেড়ায়।
বাক স্বাধীনতা নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের আইন করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে সাংবাদিককে জেলে ভরে রাখে ভীতি দেখায়। ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ১৪ও ১৮ সালে কেউ ভোট দিতে পারেনি। তারা রাতে একাই দিয়েছে। গাইবান্ধা নির্বাচন আবারো প্রমাণ করেছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সিসিটিভি, পুলিশ-বিজিবি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি একটি মাত্র আসনে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব প্রত্যাহার ও তাকে দেশে আসতে দিতে হবে। অবিলম্বে সমাবেশে – মিছিলের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। ছেলেদের চাকরির ব্যবস্থা করবো। দেশে গণতন্ত্র- শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।