দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের সবটুকু অধিকার আমরা পেতে চাই: নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন তাদের সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব নাই। তারা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে গণতান্ত্রিক সমাবেশ করতে চান।
সরকারের কাছে সে সুযোগ চেয়েছেন তিনি। দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের সবটুকু অধিকারও দাবি করেন বিএনপির প্রবীণ এ সদস্য।
নজরুল বলেন, আমরা (বিএনপি) কারও শত্রু নই, আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। কারও সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব নাই। বিএনপির শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে গণতান্ত্রিক সমাবেশ করতে চায়, আমাদের সে সুযোগ দিন। এ জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের নাগরিক হিসেবে সংবিধানের সবটুকু অধিকার আমরা পেতে চাই।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি বিএনপির। এ ব্যাপারে নজরুল বলেন, চট্টগ্রামে সমাবেশের তিনদিন আগে প্যালোগ্রাউন্ড বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। বরিশাল, সিলেটের সমাবেশের স্থান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ময়মনসিংহে কি এমন হয়েছে যে প্রশাসন মাঠের অনুমতি দিচ্ছে না? এটা বিভাগীয় সমাবেশ, ৭ জেলার নেতাকর্মীরা আসবেন। সেজন্য আমরা সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে বড় মাঠ চাই। আর যদি সারা শহরে সমাবেশের নেতাকর্মীরা ছড়িয়ে থাকেন তাহলে তাদের শৃঙ্খলার নিশ্চয়তা কে দেবে? আশা করছি প্রশাসন বড় সমাবেশের জন্য মাঠ বরাদ্দ দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ মশিউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত সমাবেশের মাঠ দেওয়া হয়নি। সেই সাথে সমাবেশে বাঁধা দিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করতে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরকারি দলের পক্ষ থেকে কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চা খাওয়ার দাওয়াত দেন, অথচ আমরা (বিএনপি) সমাবেশের জন্য মাঠ পাব না, এটা হতে পারে না। ভয়-ভীতি দেখিয়ে সমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করা যাবে না।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত ৬ অক্টোবর প্রশাসনের কাছে সমাবেশের জন্য সার্কিট হাউস মাঠের ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমাবেশের জন্য মাঠের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বড় মাঠে সমাবেশের জনস্রোত আড়াল করার জন্য মাঠে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এই জনস্রোত যদি সারা শহরে ছড়িয়ে যায়, আর তাতে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা হয় দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি পাঁচ নেতা হত্যা ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে গণ-সমাবেশের আয়োজন করেছে বিভাগীয় বিএনপি। সেটিই করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছে দলটি।