সরকার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ: রব
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অসহযোগিতা করে সরকার ‘সাংবিধানিক কর্তব্য’ পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রব বলেন, মাত্র একটি উপ-নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে কয়েক প্লাটুন র্যাব, আনসার সদস্য ছাড়াও এক হাজার ২৮৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে। তারপরও নির্বাচনে কারচুপি বন্ধ করা যায়নি। তাহলে ৩০০ আসনের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার অক্ষম।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা নিজ চোখে গোপনকক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোট বন্ধ করা হয়েছে।’
বুধবার (১২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জেএসডি সভাপতি বলেন, এতে প্রমাণ হয় অতীতের মতো আজকেও উপনির্বাচনেও নির্বাচন কমিশনকে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সহযোগিতা করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ১২৬-এ বলা হয়েছে- ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ সরকার গাইবান্ধা উপনির্বাচনে সংবিধানের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য পালন করেনি।
রব বলেন, সরকার ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি এবং জনগণবিহীন ভোটের সংস্কৃতিতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো- গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ইসিকে সরকারের অসহযোগিতা এবং সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। নতুবা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করা। এটাই হবে নির্বাচন কমিশনের নৈতিক কর্তব্য।