হুমকি-ধমকি দিয়ে উত্তাল জনস্রোত ঠেকানো যাবে না: রিজভী
চট্টগ্রামে বিএনপির জনসমাবেশে উত্তাল জনস্রোত ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, বুধবার (১২ অক্টোবর) বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির উদ্যোগে বিশাল জনসভা হবে। এতে দলের মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। সেই জনসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য শুধু চট্টগ্রামের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরাই নয়, সাধারণ জনগণও প্রস্তুতি নিয়েছেন। মলিন হওয়া মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে উপস্থিত হন। এই খেটে খাওয়া মানুষ, নিপীড়িত মানুষ এ সরকারের পতন চায় এবং তারা একটা স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকামি একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যে সরকার এই সাধারণ মানুষকে অনাহারে অর্ধাহারে রাখবে না। এমন প্রত্যয় নিয়েই তারা বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত হন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে মনে হয় তৃণমূলে উত্থান শুরু হয়েছে। বুধবারও বিএনপির সমাবেশে অনাহারে অর্ধাহারে থাকা মানুষ মলিন চেহারার মানুষদের উপস্থিতি ব্যাপক হারে হবে। এছাড়াও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ জমায়েত হবে। চট্টগ্রাম যখন উৎসব মুখর, তখন ফ্যাসিবাদের যারা অনুসারী রয়েছেন, ফ্যাসিবাদের ইন্সট্রুমেন্ট যারা রয়েছে অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ-র্যাব চেষ্টা করছে যেন সমাবেশে লোক কম হয়। তারা আমাদের চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর দক্ষিণ এবং বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও হুমকি দিচ্ছে যাতে তারা সমাবেশে অংশ না নেয়। তাদের পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতি একমাত্র শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব। তারা সবসময় এই ধরনের কাজ করে আসছে। কিন্তু জনগণের যে উত্তাল স্রোত, সেই স্রোতকে হুমকি দিয়ে, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আটকাতে পারেনি। প্রতিটি জনসভায় এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায়ও তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই বাধা উপেক্ষা করে জনসভায় অংশ নিয়েছে লাখো মানুষ। পুলিশ প্রশাসন যতই বাধা দিক না কেন, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও পরিবারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করুক না কেন; বাস মালিক-শ্রমিকদের বেশি করে যাত্রী নিতে নিষেধ করুক না কেন; সবকিছু উপেক্ষা করে বুধবারের জনসমাবেশে ব্যাপক হারে মানুষ উপস্থিতি হবে।