ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাটে উঠেছে ‘শাকিব খান’ ও ‘জায়েদ খান’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে পশুর হাট। ব্যাপারী ও খামারিরা তাদের পালিত পশু নিয়ে হাটে আসছেন। জেলার নবীনগর উপজেলায়ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত পশুর হাট। হাটে উঠছে বিভিন্ন নামের পশু।
তবে গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘জায়েদ খান’ ও ‘শাকিব খান’ নামের দুটি ষাঁড়। ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের দুই হিরোর নামে নাম রাখা ষাঁড় দুটি নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।
উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া হাটে ছয়টি গরু নিয়ে এসেছেন। এরমধ্যে ‘শাকিব খান’ ও ‘জায়েদ খান’ নামের দুটি ষাড় গরু রয়েছে ক্রেতাদের কেন্দ্রবিন্দুতে।
শাকিব খানের ওজন প্রায় ৭০০ কেজি (সাড়ে ১৭ মণ)। আর জায়েদ খানের ওজন ৬০০ কেজিরও (১৫ মণ) বেশি। শাকিব খানের সাড়ে ৩ লাখ ও জায়েদ খানের ৩ লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত শাকিব খানের দাম উঠেছে ২ লাখ ২০ হাজার। আর জায়েদ খানের দাম উঠেছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
গরু ব্যাপারী ইউনুস মিয়া বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ২২টি ষাঁড় লালন-পালন করেছি। এরমধ্যে বড় ষাঁড়গুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। দুটি ষাঁড়ের নাম ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের দুই হিরো শাকিব খান ও জায়েদ খানের নামে রাখা হয়েছে। প্রত্যাশিত দাম উঠলেই বিক্রি করে দেবো।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ৭৫টির পশুর হাট অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।