স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করে হেফাজতে ইসলামের নেতারা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। জামিন পেলে সরকার ‘বিব্রত’ হয়- এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংগঠনের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়েছেন তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের অশালীন মন্তব্যের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানিয়েছে হেফাজত। সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মহাসচিব সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমির মাওলানা ফুরকানউল্লাহ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী ও সেক্রেটারি মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারী। পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, জামিন-পরবর্তী তারা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না, যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নেতারা জানান, কারাবন্দি অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হুইলচেয়ারে আদালতে আনা হচ্ছে।

0

বন্যার ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার ধরলা সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ও ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। ফলে এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চরের জয়নাল বলেন, ফের ধরলার পানি বাড়ায় নতুন করে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে আবারও বন্যার আতঙ্কে রয়েছি।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের খেয়ারচরের ছকমল মোল্লা বলেন, আবারও নদীর পানি বেড়ে চরের দিকে আসছে। এতে করে পরিবার নিয়ে বন্যা আতঙ্কে রয়েছি।

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টার প্রতিবেদনে পাউবো কুড়িগ্রাম অফিস সূত্র জানায়, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে তিন সেন্টিমিটার, শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিপৎসীমার নীচে রয়ে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদরের সেতু পয়েন্ট ও শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com