একতরফা প্রেম থেকে বেরিয়ে আসবেন যেভাবে
প্রেমে পড়া বারণ, কারণে অকারণ। গানের কথাগুলো ভালো লাগলেও মনকে বোঝানো তো যায় না। যখন তখন আপনার অজান্তেই মন কারও প্রেমে পড়ে যাবে, আপনি যখন টের পাবেন তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে। বেশিরভাগ সময় ভুল মানুষটির প্রেমেই পড়ে মন।
তবে প্রেমে পড়ার মুহূর্তগুলো খুবই বিশেষ সবার জন্য। কতশত গান, কবিতা রচিত হয়েছে এই অনুভূতিকে ঘিরে গুনে শেষ করা যাবে না। তবে সেই প্রেম তখনই পরিণতি পাবে যখন কিনা অপরপক্ষ আপনার অনুভূতিকে সাড়া দেবে। আর তা যদি না হয় তাহলে সেখানেই সমাধি প্রেমের।
অনেকেই আছেন সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। এক তরফা প্রেমে আটকে থাকে বর্তমান। মানসিক অবসাদ ঘিরে ফেলে আপনাকে। তবে ভবিষ্যৎকেও হুমকির মুখে ফেলা একেবারেই উচিত হবে না আপনার। এক তরফা প্রেম থেকে বেরিয়ে আসুন। এই কথা যতখানি সহজ ততটাই কঠিন করে দেখানো।
চলুন এর কিছু সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক-
> প্রথমে আপনার মন ঠিক করুন। এই সিদ্ধান্তে আপনাকে পৌঁছাতে হবে যে আপনি এক তরফা প্রেমের সম্পর্ক থেকে আপনি বের হবেনই। মনে মনে সংকল্পটা করে ফেলুন আগে। এতে কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে।
> কথায় আছে আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড। প্রথমেই সেই মানুষটার সঙ্গে যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করুন। ফোন নাম্বার, ফেসবুক, সব থেকে তাকে ডিলিট করে দিন।
> পুরনো চ্যাট বা বার্তা বারবার পড়বেন না। এতেও সমস্যা বাড়ে।
> দূরত্ব এই ক্ষেত্রে সব চেয়ে উপযোগী ও কার্যকরী পন্থা। যে মানুষটির প্রতি দুর্বলতা সে চোখের সামনে যত ঘন ঘন আসবে, ততই মনে পড়ে যাবে পুরনো স্মৃতি। ফলে, তাকে না পাওয়ার কষ্ট। তাই একটি নিরাপদ দূরত্ব সব সময়ই সাহায্য করে।
> সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় অনেক কিছুরই স্বতঃস্ফূর্ত সমাধান। এক তরফা প্রেম থেকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাতে সব চেয়ে ভালো প্রলেপ দিতে পারে সময়। নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিন। দেখবেন কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই দিনে দিনে ফিকে হয়ে এসেছে অনুভূতির তীব্রতা।
> নিজের উপর বিশ্বাস এই সময়ে খুব সহজে নড়ে যায়। অনেকে ভাবতে শুরু করেন যে একটি প্রেম পরিণতি পায়নি মানে কোনো প্রেমেই আর তা আসবে না। এমন কি নিজের ক্ষমতা, সাধ্যকেও প্রশ্ন করতে শুরু করেন অনেকে। এমনটা একেবারেই নয়, নিজের উপর বিশ্বাস বা আস্থা হারাবেন না।
> বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান, আড্ডা দিন। পরিবার বা নিকটজনদের ভালোবাসাকেও সমান কদর করুন, মূল্য দিন। একটি প্রত্যাখ্যান আপনাকে আর আগের মতো বিব্রত করবে না।
> সময় কাটান নিজের মতো করে। একাই বেড়াতে চলে যান। ভ্রমণ মানুষকে একটি প্রয়োজনীয় নিভৃতি দেয় যা অনেক কিছু উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। ফিরে এসে দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে আছেন।
> তবে আপনার এই ব্যাপারটি জনে জনে শেয়ার করবেন না। কেননা আপনি তাকে ভুলে গেলেও হয়তো আপনার আশেপাশে এমন মানুষ আছে যারা আপনাকে কষ্ট দিতে তা মনে করিয়ে দেবে। তাই খুব নিকট বন্ধু না হলে শেয়ার না করাই ভালো। দরকার হয় কাগজে লিখুন। এরপর সেটি নষ্ট করে দিন। ভুলেও ডায়রিতে এই অনুভূতি লিখবেন না।