২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা খাওয়ানোর প্রস্তুতি
ডায়রিয়া ও কলেরা সংক্রমণ প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী সরকারের টিকা দান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (২৬ জুন)। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত প্রথম ডোজের এই টিকা কর্মসূচি চলবে। মুখে খাওয়ার এই টিকা গর্ভবতী নারী ছাড়া এক বছর বয়স হতে সব বয়সের মানুষকে দেওয়া হবে। প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে এই টিকার আওতায় আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) সূত্র জানায়, জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখানে এই কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এসব টিকা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ইতোমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অধিদফতরের এক চিঠিতে বলা হয়, রোববার দুপুর ২টায় আইসিডিডিআর,বি’র সাসাকাওয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, আইসিডিডিআর, বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিনা আহমেদ বক্তব্য দেবেন।
গত বুধবার ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডায়রিয়ায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর রাজধানী ঢাকায় ২৩ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে। এক বছর থেকে বড় সব বয়সের মানুষ কলেরার টিকা পাবেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা পাবেন না।
সারাদেশে কেন দেওয়া হবে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টিকার এখন খুব সংকট। নাইজেরিয়া থেকে টিকা কেটে আমাদের দেওয়া হয়েছে।’
রাজধানী ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী যাত্রাবাড়ী এলাকায় জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপদ পানির অভাবে এই সমস্যা হয়েছে। সাপ্লাই লাইনে সমস্যা আছে। পানির সমস্যা সমাধান না হলে এটা থেকেই যাবে। যে পানি আমরা ব্যবহার করবো, তা নিজ দায়িত্বে নিরাপদ করে নিতে হবে।