ছবিহীন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি কেন নয়
বায়োমেট্রিক ফিচার ব্যবহার করে পর্দানশীন নারীদের ছবিবিহীন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক নারীর করা রিটের শুনানিতে রবিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাছুমা জামায়েল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন রাজধানীর শাহজাহানপুর শান্তিবাগের বাসিন্দা সুমাইয়া আহমাদ মুনা। রিট আবেদনে তার স্বামী মুহম্মদ আরিফুর রহমানকে অথরিটি দেওয়া হয়েছে।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন বরাবর একটি আবেদন করেন সুমাইয়া আহমাদ মুনা। সেখানে বলা হয়, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ও পর্দানশীন মুসলিম নারী এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলামের শরীয়তের হুকুম আহকাম নিয়মিতভাবে পালন করে থাকেন। সেকারণে যেকোনো প্রকার ছবি তোলা থেকে বিরত থাকেন। যার ফলে তার পরিচয়পত্র নেই।
কিন্তু পরিচয়পত্র না থাকায় নানাবিধ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মুনা। তাই ছবি ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চান। কিন্তু আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
আইনজীবী মাছুমা জামায়েল জানান, এ বিষয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ছবি ছাড়া বিকল্প পরিচয় তথা বায়োমেট্রিক ফিচার ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ আবেদনটি সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার জানান, হজ করতে গেলেও ছবি তুলতে হয়। অ্যাকাউন্ট করতে গেলেও ছবি লাগবে। ছবি না দিলে ওনার টাকা যদি অন্য কেউ নিয়ে যায়, তার কী হবে। আর বায়োমেট্রিক করতে হলে চোখের আইরিশ লাগবে। তখন তো পর্দা রক্ষা হবে না। আর এ আবেদনটি দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।