৫৬ দিন হাসপাতালে খালেদা জিয়া, অবস্থা অপরিবর্তিত, প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা
গত ১৩ নভেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া টানা ৫৬ দিন রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। চিকিৎসকরা স্থানীয়ভাবে তাঁর চিকিৎসার সবকিছু ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। তারও অনেক আগে থেকে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। তারা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছেন এবং বারবার তাগিদ দিচ্ছেন উন্নত চিকিৎসার্থে তাঁকে বিদেশে নেওয়ার জন্য।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম’ সিসিইউতে রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। যখন তখন তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, সেই প্রযুক্তি দেশে নেই। তাই তাঁকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন।
গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. ফখরুদ্দিন মো. সিদ্দিকী (এ এফ এম সিদ্দিকী) জানান, বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ হয়েছে। শরীরের অভ্যন্তরে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তক্ষরণের এ ঝুঁকি এড়াতে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ‘লাইফ সাপোর্টিং ইনজেকশন’।
চিকিৎসকরা আরও জানান, খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রতিবারই তিনি মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে ছিলেন। রক্তক্ষরণ হলে শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, তিনি উঠে দাঁড়ানোর শক্তি হারিয়ে ফেলেন। রক্তবমির কারণে তাঁর খাওয়া-দাওয়ায় অনীহাও বেড়েছে। এখন দ্রুত তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।