জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে হত্যা করে স্বৈরাচারী কায়দায় আ.লীগ সরকার দেশ চালাচ্ছে: মান্না
এ সরকারের হাতে দেশের সাড়ে ১৭ কোটি মানুষ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, আমরা একটা সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
কিন্তু আমাদের সব আশা আকাঙ্খাকে হত্যা করে এ সরকার স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকরতে হবে।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্যকরেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজনকরা হয়।
মান্না বলেন, এ দেশে একটা লকাডাউন চলছে। সবকিছু খোলা, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু নেই।
১৪ মাস ধরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খোলা নেই। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ভেবে দেশের সব নাগরিক উদ্বিগ্ন। সবাই জানেন যেইন্টারনেটের কারণে আমাদের কিশোররা বিপদগামী হচ্ছে। অথচ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তার ওপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নাকিকোনো চাপ নেই। এরা সেই ধরনের মন্ত্রী, যারা এ দেশে ক্রসফায়ার সমর্থন করেন। মানুষকে গুলি করে হত্যা করাকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে একটা মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছে। তাকে ১৭ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, অর্থপাচার হয় নাকি? কারা করে আমাকে লিস্ট দেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। অথচ সবাইজানে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন, বিদেশে কারা কারা বাড়ি বানায়, কারা বেগম পাড়ায় বাড়ি বানায়, কারা সেকেন্ড হোম করে, কারা লাখ কোটি টাকা বিদেশে ব্যাংকে জমা রাখে আমরা তাদের চিনি।
মান্না বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, দলের পক্ষ থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন, তাকেবিদেশে নিয়ে যান। তার করোনা হয়েছিল, তার কিডনি সমস্যা, হার্টে সমস্যা। অথচ ওরা মামলা করেছে, হাইকোর্ট বলেছেন, উনিকবে জন্মগ্রহণ করেছেন তার সার্টিফিকেট জমা দেন।
তিনি বলেন, সেদিন ডা. জাফজরুল্লাহ চৌধুরী এখানে দাঁড়িয়ে বলেছেন দেশের আট কোটি মানুষের জন্ম তারিখ ঠিক নেই।আমি মাহমুদুর রহমান মান্না বলছি, আমরা সার্টিফিকেটে যে জন্ম তারিখ আছে সেটা আমার আসল জন্ম তারিখ কি না তাআমি জানি না। যারা আমাদের বয়সী–তারও কম বয়সী আমরা যখন স্কুলে ভর্তি হতে যাই, হেড মাস্টার সাহেব জিজ্ঞাসা করেন, জন্ম কবে? ওনার যদি তারিখ পছন্দ না হয়, উনি বলেন, ওর জন্ম এ তারিখে হবে। স্কুল যা লেখে সেই জন্ম তারিখ থাকে।তারপরেও এর ওপরে মামলা। হাইকোর্ট পর্যন্ত রায় দেয়।
সংগঠনের মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, কৃষক দল নেতা এসএম সরোয়ার জাহান, মুসাফরাজী প্রমুখ।