ফাঁসির আসামি জাপা নেতা কায়সারের আপিলের রায় ১৪ জানুয়ারি
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের রায় ১৪ জানুয়ারি। আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আপিলের শুনানি শেষ হয়। পরে রায়ের জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে কায়সারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে ১০ জুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে সৈয়দ কায়সারের শুনানি শুরু হয়। সৈয়দ কায়সারের পক্ষে মামলার পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান। পরে অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছেন আদালত।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানিুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সৈয়দ কায়সারের পক্ষে আপিল দায়ের করা হয়। গত ১০ জুলাই আপিলের ওপর শুরু হয় শুনানি।
আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে। তার মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
এ ছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর এবং ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনো সাজা দেননি আদালত।