অবিশ্বাস্য ক্যাচে মাঠের সবাইকে তাক লাগালেন

0

ব্যাটসম্যানের জন্য অনেকটা উপহারস্বরুপ এক লোপ্পা ফুলটস ডেলিভারি করেছিলেন রীতিমতো নিয়মিত বোলার বনে যাওয়া লেগস্পিনার মার্নাস লাবুশেন। প্রথম বলেই এমন ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারি পেয়ে ছক্কা হাঁকানোর জন্য বড় শট খেলেন মাইকেল নেসার। বল হাওয়ায় ভেসে চলে যায় ওয়াইড লংঅন অঞ্চলে।

কিন্তু নেসারের কপাল খারাপই বলতে হবে। কেননা বাউন্ডারি লাইনে বাজপাখির মতোই দাঁড়িয়ে ছিলেন বেন লাফলিন। যিনি রীতিমতো উড়ে এসে অসাধারণ এক প্রচেষ্টায় বিদায়ঘণ্টা বাজান নেসারের। লাবুশেন পেয়ে যান সৌভাগ্যময় এক উইকেট, নেসার ফেরেন খালি হাতে। আর নায়ক বনে যান লাফলিন।

ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের। মঙ্গলবার এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রিসবেন হিট ও অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অ্যাডিলেইড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা করে মাত্র ১৩০ রান।

অ্যাডিলেইডের ইনিংসের ১৮তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার বোলিং করতে আসেন লাবুশেন। সেই ওভারের তৃতীয় বলে তিনি ফেরান ২৬ রান করা ফিল সল্টকে। আর পঞ্চম বলেই অবিশ্বাস্য ক্যাচটি ধরেন লাফলিন, যা রীতিমতো বাকরুদ্ধ করে দেয় ধারাভাষ্যকারদের। এর মাধ্যমে লাবুশেন পান ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট।

অফস্ট্যাম্পের বাইরের ফুলটস ডেলিভারিটি স্লগ সুইপ করেছিলেন নেসার। যা চলে যায় ওয়াইড লং অন অঞ্চলে। লাফলিন ফিল্ডিং করছিলেন লংঅনে। সেখান থেকে ডানদিকে অনেকটা পথ দৌড়েও যখন দেখছিলেন বল পড়ে যাচ্ছে মাটিতে, তখন সুপারম্যানের মতো শরীর হাওয়ায় ভাসিয়ে ডান হাতে লুফে নেন ক্যাচটি।

লাফলিনের এই ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন নেসার। পরে অ্যাডিলেইড করে ১৩০ রান। লাবুশেন ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। তবে এ ইনিংসের বিজ্ঞাপন ছিল লাফলিনের ক্যাচটিই।

১৩১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে ব্রিসবেনের খেলতে হয়েছে ১৮.৫ ওভার। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। জো ডেনলি ৪৪ ও জেমি পিয়ারসন ৪৭ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। যার ফলে নকআউট ম্যাচের টিকিট পেয়েছে ব্রিসবেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com