ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্তৃত্ববাদী ও একপক্ষীয় শাসনকে রুখে দিতে হবে: দুদু

0

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী ও একপক্ষীয় শাসনকে রুখে দিতে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে শহীদ জিয়ার রাজনীতি তুলে ধরতে হবে।

গতকাল শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রচিন্তা ও কর্মময় জীবন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

দুদু বলেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যদি আমরা সামনে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে বিএনপির সামনে যে কার্যকরীতা আছে, তা সফল হবে।

তি‌নি ব‌লেন, রাজনীতি করে কারা? যাদের মধ্যে কিছু একটা আছে। যারা লড়াইটা করতে জানে। কিসের জন্য লড়াই করছে? বিএনপির জন্য? স্লোগানের জন্য? নেতা নেত্রীর জন্য? এটা মনে হয় একটা সময় মানুষের মাঝে ক্লান্তি এসে যাবে। কিন্তু মূল বিষয়টা সে যদি জানতে পারে। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ, ১৯ দফা, দেশ, শহীদ জিয়া, তারেক রহমান এই সবকিছু মিলেই কিন্তু আমরা সাফল্যের দিকে যেতে পারি। সেই জিনিসটাই কিন্তু পাঠাগার দিতে পারে। যদি জাতিকে সত্যিই কিছু দিতে চান, তাহলে পাঠাগারে আসতে হবে।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এরকম একজন মানুষ দিনের পর দিন কারাগারে আছে। অনেকেই মনে করে তিনি বাসায় আছেন। আসলে তিনি কারাগারে আছেন। তিনি কোনোভাবেই মুক্ত না। একটি ফ্যাসিস্ট সরকার তার ক্ষমতা বেগম জিয়ার ওপর প্রয়োগ করেছে।

তিনি বলেন, এতগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শেখ মুজিবুর দিতে পারেন নাই। ওই সময় মাওলানা ভাসানী ছিলেন। আরও রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন। আ স ম আবদুর রব পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তিনিও স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন নাই। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অনেকে বলে বাঁশির ফু, সামরিক ব্যক্তি, ওই গুলো বলে লাভ নাই। কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা সেই সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই নিয়েছিলেন। সেটা যে কতটুকু প্রয়োজনীয় সে সময় প্রমাণিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এখনও তা প্রমাণিত।

কৃষক দলের এই আহ্বায়ক বলেন, আমরা এমন একটি ব্যক্তির রাজনীতি করছি বা কর্মপন্থা অবলম্বন করেছি। যিনি স্বাধীনতাকে প্রথম জাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নাকি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিটা কি? শান্তিটা হচ্ছে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্য কেউ থাকতে পারবে না। যেখানে মেয়েরা পর্যন্ত নিরাপদ না সেখানে শান্তিটা কীভাবে?

এ সময় তিনি জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই পাঠাগার শুধু ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com