দেশে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত করাই যেনো আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

0

দেশে আজ খুন, গুম, হামলা-মামলা দিয়ে গোটা দেশকে রীতিমতো জেলখানায় পরিণত করা হয়েছে,। রাজনৈতিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে,। আইনসভাকে রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে,। আমলাতন্ত্র দলতন্ত্রে পর্যবসিত হয়েছে,। বিচারব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে,। নির্বাচন কমিশনকে দলীয় প্রতিষ্ঠানের রূপ নিতে দেখা গেছে,।

সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হয়েছে যে ক্ষেত্রে, তা হলো, নির্বাচন ব্যবস্থা,। ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সবগুলোই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে,। নির্বাচনকে জনগণের ভোটাধিকারবিহীন এক তামাশায় পরিণত করা হয়েছে,। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে,। ভিন্নমত পোষণ একরকম অসম্ভব হয়ে উঠেছে,।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে যতই দিন গেছে ততই যেন ক্ষমতার রাহু গ্রাস করেছে পূর্ণ সূর্যকে,। সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে গণতন্ত্রকে,। কিন্তু গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন,। নির্বাচন হলো ‘গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা’,। সে নির্বাচন হতে হবে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ,। যে দেশে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল হয় সেটিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে নারাজ গণতন্ত্রকামী দেশের মানুষ,। কেননা গণতন্ত্রে জনগণের মতামতের প্রাধান্য একটি বড় বিষয়,। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র না থাকলে এবং একনায়কতন্ত্রের আবির্ভাব হলে জনগণের প্রাধান্য মতামতকে সহিংসভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়,। এর ফলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সামর্থ্যটুকুও হারিয়ে ফেলে,।

যে দেশে গণতন্ত্র থাকেনা সেখানে শাসকগোষ্ঠী নিয়মিত নানা ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেও সেসব নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকেনা,। ভোটাররা ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে,। তারা ভোট দেবার জন্য ভোট কেন্দ্রে যেতে চায়না,। দেশে যখন গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হবার দিকে ধাবিত হয় তখন সংসদে ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে,। সংসদে কার্যত কোন বিরোধী দল থাকেনা, থাকলেও সেটা গৃহপালিত,। এমনকি দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়,। সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমও স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়,। এমনকি শাসকগোষ্ঠী ইন্টারনেটও নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যাতে করে মানুষ সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পারে,।

স্পষ্ট ভাষায় বলা যায় দেশে আজ গণতন্ত্র বন্দী,।

তাই আসুন সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে জনগণের মালিকানা তাদের ফিরিয়ে দেই এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি,। যে রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com