‘প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপই কেবল রাতের ভোটের সংস্কৃতি পাল্টে দিতে পারে’

0

সুপ্রিম সুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমান সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের পক্ষপাতিত্ব, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতাসন নানা অনিয়নের তদন্তের দাবি জানিয়ে ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টকে চিঠি দেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিক। বঙ্গভবনে তাদের এমন চিঠি দেয়া নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। সর্বমহল থেকে তাদের অভিযোগ তদন্তের দাবি জানানো হয়।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের’ মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিশিষ্ট নাগরিকরা। গত ১৪ ডিসেম্বর চিঠি দেয়ার বিষয়টি গত ১৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অভিযোগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে অথবা নৈতিক কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানান তারা।

ইসির বিরুদ্ধে যে নির্বাচন কমিশনারের অভিযোগ বিশিষ্ট নাগরিকদের অভিযোগের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেই মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গত কয়েক দিন বিষয়টি নিয়ে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমি নিজেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা সার্বিক এই বিষয় সম্পর্কে বলেন, সাড়ে তিন বছরে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনেকের অনেক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি। নির্বাচন সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ আমলযোগ্য মনে হয়নি এ কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যের অভিযোগও অগ্রাহ্য হয়েছে। এ অবস্থায় বিশিষ্ট নাগরিকদের এসব অভিযোগ কমিশনের কাছে আমলযোগ্য নাও হতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসির বিরুদ্ধে ৪২ জন নাগরিকের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদনের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। যেহেতু তারা প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেছেন, সেহেতু আমাদের আর কিছু বলার থাকতে পারে না।

তবে ৪২ নাগরিকের অন্যতম ড. শাহদীন মালিক বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com