ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা লুট, দুই পুলিশ গ্রেফতার

0

একটি প্রাইভেট কার ক্রয় করতে এসে পুলিশের হাতে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃশ্ব মো. আবু জাফর। সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এক পুলিশ সদস্যসহ একটি চক্র আবু জাফর থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাক লুট করায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আবু জাফর।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তবে দুই পুলিশ গ্রেপ্তার হলেও এ মামলায় অন্য আসামি পুলিশ সোর্স মো. রিপন (৩০), হারুন (৩৭) ও রাজু (২২) পলাতক রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর সকালে গাড়িচালক আবু জাফর একটি প্রাইভেট কার কিনতে সীতাকুণ্ডে আসেন। দরদামে না মেলায় কারটি না কিনে সন্ধ্যায় তিনি ফিরে যাবার সময় পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডে শ্যামলী বাস কাউন্টারে তিনজন পুলিশ সোর্স তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের সাথে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও ওসির বডিগার্ড কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম যোগ দেয়। পরে নিজেদের ডিবি বলে পরিচয় দেয় ও গাড়িচালকের কাছে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পেটে ইয়াবা আছে বলে ভয় দেখিয়ে এক্সরে করান। কিন্তু ইয়াবা না পেলেও পরে আরো বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গাড়ি ক্রয়ের জন্য তার সাথে রাখা দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় ও তাকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে পরে একটি গাড়িতে তুলে দেয়। সে গাড়িতে তিনি ঢাকায় চলে যান।

কিন্তু অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা এভাবে লুটে নেয়ায় গাড়িচালক আবু জাফর তা মেনে নিতে পারেননি। তিনি সুবিচারের আশায় সীতাকুণ্ড থানায় এসে ঘটনা জানান। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারও ঘটনাটি জানতে পেরে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে সীতাকুণ্ডে আসার পর আবু জাফর ঘটনাস্থলে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় জানতে পারেন।

শেষে ভুক্তভোগী আবু জাফর এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানার এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের পর প্রথমদিকে এসআই সাইফুল আলম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ সুপারের চাপে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার সময় তারা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি আশরাফুল করিম এসআই সাইফুল ও কনস্টেবলের গ্রেপ্তারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা স্বীকার করেন। এর বেশি তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com