চট্টগ্রাম-খুলনা ফাইনাল শুক্রবার

0

রাউন্ড রবিন পর্বে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের একমাত্র পরাজয় ছিল বেক্সিমকো ঢাকার কাছে। সে ম্যাচে ১৪৮ রান করেও ৭ রানে ম্যাচ জিতেছিল তারা। গতকাল মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সেই ঢাকা মাত্র ১১৬ রানেই অলআউট চট্টগ্রামের বিপক্ষে! ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে বঙ্গবন্ধু কাপের ফাইনালে উঠে গেছে চট্টগ্রাম। শুক্রবার জেমকন খুলনার সঙ্গে শিরোপা লড়াই লড়বে তারা।

টুর্নামেন্টের আগের ২২ ম্যাচের ২১টিতেই টসজয়ী দল নিয়েছে বোলিং। ধারার বাইরে গিয়ে ঢাকা নেয় ব্যাটিং। ছন্দে থাকা সাব্বির রহমানের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে পাঠানো হলো মুক্তার আলিকে। কাজে লাগেনি এই ফাটকা। নিজেদের বাজে ব্যাটিং আর মোস্তাফিজ-শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। ৫০ রানে সাব্বির, মুক্তার, নাঈম শেখ আউটের পর মুশফিক-ইয়াসির আলি জুটি আবারও জমে উঠতে শুরু করেছিল ঢাকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিনটি তাদের ছিল না। ৩১ বলে ২৫ করে মুশফিক আউট হয়ে যান প্রিয় সুইপ শটে। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে দারুণ ক্যাচ নেন রকিবুল। ইয়াসির শুরু করেন সাবলীলভাবেই। রকিবুলকে ছক্কা মারেন চোখধাঁধানো এক ইনসাইড আউট শটে। কিন্তু ২৪ রানে (২১ বলে) তাকে কাটারে থামান ফিজ। এরপর রান যা একটু বাড়ান কেবল আল আমিন। দুই ছক্কায় ১৮ বলে ২৫ করেন তিনি। ফিজকে সøগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। ঢাকার শেষ ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ ৩ রান পেরোতে পারেননি। ১২ রানের মধ্যে হারায় শেষ ৫ উইকেট। ৮ ওভারে ৪৯ রানে দুই বাঁহাতি ফিজ-শরিফুল নেন ৫ উইকেট।

স্বল্প এই লক্ষ্যের পথে লিটন-সৌম্য ওপেনিং জুটিই এগিয়ে দেন ৪৪ রান। তবে শফিকুল-নাসুমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাবধান হতে হয়েছে চট্টগ্রামকেই। ১৯তম ওভারে মুক্তার আলিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারির ধারে সাব্বিরের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নিতে হয় ৩৫ বলে ৩৪ রান করা অধিনায়ক মিঠুনকে। এসেই ছক্কা হাঁকিয়ে শামসুর রহমান শুভ স্কোর সমান করেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে মোসাদ্দেক তুলে নেন জয়সূচক রান। স্বল্প রানের পুঁজিকেই ম্যাচ হারার প্রধান কারণ বলেছেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক। সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে কয়েকটা ক্যাচ ড্রপের কথাও উল্লেখ করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com