বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালের পথে ঢাকা

0

লক্ষ্য সহজই ছিল। আগের ম্যাচে ১৯৩ করা কিংবা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ফরচুন বরিশালের। সেই বরিশালই কিনা ১৫০ রানের মাজারি স্কোরও টপকাতে পারেনি।  

বরিশালের বিপক্ষে ৯ রানের জয়ে ফাইনালে পথে একধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা। চট্টগ্রাম-খুলনার মধ্যকার প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে যারা জিতবে তারা সরাসরি ফাইনালে যাবে। আর যারা হেরে যাবে তাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মঙ্গলবার সাড়ে ৪টায় মুখোমুখি হবে ঢাকা। ওই ম্যাচে যারা জিতবে তারা শুক্রবার ফাইনালে লড়াই করবে।

ঢাকার বিপক্ষে ১৫১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪১/৯ রানে ইনিংস গুটায় বরিশাল। দলের হয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে একাই লড়াই করেছেন তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। ১৭তম ওভারে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ে বরিশালের জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে তিন চার ও চারটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন। 

আফিফ আউট হওয়ার পর বরিশালের জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। রুবেল হোসেনের করা ১৮তম ওভারে ১০ রান নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান।১৯তম ওভারে শফিউল ইসলাম ১৫ রান খরচ করলেও তুলে নেন মাহিদুলের উইকেট।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২০ রান।মুক্তার আলীর করা ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি মেহেদী মিরিজ।তিনি ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন।তার  আগে ১০ বলে করেন ১৫ রান।৮ বলে ১৫ রান করেন মাহিদুল।৯ রানের জয় পায় ঢাকা। ঢাকার জয়ে শফিউল ইসলাম ও মু্ক্তার আলী।দুই উইকেট নেন আল-আমিন।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান বরিশালের মেহেদী হাসান মিরাজ। এ অফ স্পিনারে বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ। আগের ম্যাচে এই বরিশালের বিপক্ষেই ৬৪ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে পারেননি জাতীয় দলের এ ওপেনার। সোমবার ফেরেন ১১ বলে মাত্র ৫ রান করে। 

নাঈমের বিদায়ের পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিনের করা প্রথম ওভারের প্রথম বল ডট দেন আল-আমিন। দ্বিতীয় বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ৬ রানে নাঈম শেখ ও আল-আমিনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। 

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা সাব্বির রহমান রুম্মন বোল্ড হন সোহরাওয়ার্দী শুভর স্পিনে। তার বিদায়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি।

দলীয় স্কোর বাড়াতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে আউট হন মুশফিক। ১২.৪ ওভারে ৭২ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি।তার আগে ৩০ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন ঢাকার এ অধিনায়ক। 

মুশফিকের বিদায়ের পর ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফেরেন আকবর আলী (২১)। এরপর মু্ক্তার আলীর সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে আউট হন ইয়াসির আলী। তার আগে ৪৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান। তার ফিফটিতেই ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com