ঝিনাইদহের ক্ষুধাজয়ী ১৫ নারী পাচ্ছেন সম্মাননা
দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করেই শৈশব আর কৈশোর পেরোতে হয়েছে তাদের। এ সময় প্রতিটা দিন কেটেছে খেয়ে না খেয়ে। অভাবের সংসারে স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা ছিল সোনার হরিণের মতোই। ফলে খাবারের অভাবে খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে তাদের। তার পরও তাদের সবারই স্বপ্ন ছিল স্বামীর সংসারে হয়তো সুখের দেখা মিলবে। কিন্তু না, আরও অভাবের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের। আবার যুদ্ধ সেই দারিদ্র্যের সঙ্গে।
কিন্তু তারা এ যুদ্ধে কেউ হেরে যাননি। যুদ্ধ জয় করে তারা এখন সবাই স্বাবলম্বী। প্রায় একই রকম গল্প ছিল সবারই। এ রকম ১৫ ক্ষুধাজয়ীকে খুঁজে বের করেছে জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড’। যাদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে।
তারা সবার অজান্তেই টেকসব উন্নয়ন, জৈব চাষ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য অবসানে অবদান রেখে চলছেন।
ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখায় এসব নারীকে সম্মাননা দেবে ‘হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড’। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়ায় সংগঠনের নিজ কার্যালয়ে সম্মাননাস্বরূপ ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রতি বছর সমাজে বিভিন্নভাবে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেয়। শত বাধা পেরিয়ে ক্ষুধাকে জয় করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের রেনুকা আক্তার, মস্তবাপুরের মারুফা খাতুন ও তহমিনা বেগম, অনুপমপুরের মুন্নি ও জোসনা বেগম, মহেশ্বরচাদার মঞ্জুরা রানী, মল্লিকপুরের স্বপ্না খাতুন ও রূপভান বেগম, আগমুন্দিয়ার ফারহানা বেগম, বলরামপুরের আসমানি দেবনাথ ও রেকসনা বেগম, ভোলপাড়ার ফাতেমা বেগম, হরিগোবিন্দপুরের আসমা বেগম এবং আড়ুয়াশলুয়ার রিজিয়া ও রিনা বেগমকে এবার এই সম্মাননা দেয়া হবে।