শিশু কন্যা হত্যার বিচার দাবিতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা
কন্যা হত্যার বিচার দাবিতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা। শোকে পাথর বাবা আব্দুস শহীদ বুকে ৬ বছরের মেয়ে ইতি আকতারের ছবি নিয়ে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ইতি আখতারের হত্যারহস্য উন্মোচনের সময়ের রশি দিনে দিনে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে প্রায় দেড়টি বছর। এখনো এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
শায়েস্তাগঞ্জে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডকে ম্লান করে দিয়েছে ইতি আখতারের ঘটনা। এ হত্যাকাণ্ডের পর পরই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও প্রতিবাদ হয়। এতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শাখা ও স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। ওই মানববন্ধনে বক্তারা ইতি হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানান। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ জুলাই ভোরে বাড়ির পাশের মসজিদে মক্তবে পড়তে যায় ইতি আকতার। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ইতির বাবা এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, পরদিন সকালে আবদুস শহীদ সেই মসজিদের পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে ইতির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন। শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ওই মামলাটি কিছুদিন তদন্ত করার পর পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে ইতির বাবা আব্দুস শহীদ বলেন, পিবিআই হবিগঞ্জ এ মামলাটি তদন্ত করছেন জেনে আমি আনন্দিত তাদেরকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। আমি চাই আমার মেয়ের প্রকৃত খুনিদের ফাঁসি হোক।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর শরীফ রেজাউল করিম বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছি। অচিরেই এ মামলার প্রতিবেদন আদালতে পেশ করা হবে।
এ মামলার বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, শিশু ইতি হত্যা মামলাটি পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছেন।