মারা গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে ডাকাতের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গিয়ে মনোয়ারা বেগম বলেছিলেন ছেলে তানজিম সিয়াম নিশ্চয়ই কোমা থেকে তারা ডাকে সাড়া দেবে। ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই সাড়া আর দিলেন না সিয়াম। যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে গিয়ে মাথা গুলি খাওয়া এই যুবক শনিবার মারা গেছেন।
সিয়াম পাঁচ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ‘এম অ্যান্ড আর’ নামের একটি দোকানে কাজ শুরু করেন। সেই দোকানে ডিউটি করা অবস্থায় এক সন্ত্রাসী তার মাথায় গুলি করে। এরপর কোমায় চলে যান।
ভিন দেশে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে থাকা ছেলেকে একবার দেখার আশায় সিয়ামের মা মনোয়ারা বেগম মনি ছটফট করতে থাকেন। পরে একটি বিমান কোম্পানির সহায়তায় চলতি মাসের শরুতে তিনি সেখানে যেতে পারেন। এই পুরো প্রক্রিয়ায় তাকে সাহায্য করেন বোস্টনের দুই স্থানীয় রাজনীতিবিদ-সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং এড মারকে।
সিয়াম কোমায় চলে যাওয়ার পর বোস্টনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্থানীয় মেয়র প্রতিদিন তার খোঁজ নিয়েছেন। মৃত্যুর খবর শুনে বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তানজিম তরুণ অভিবাসী ছিলেন। উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে প্রাণ দিলেন। তার পরিবারের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আমরা ভয়ংকর এই ঘটনার বিচার চাইতে থাকব, যাতে আর কোনো জীবন নষ্ট না হয়।’
সিয়ামের ঘাতক সন্দেহে ইতিমধ্যে ২৫ বছর বয়সী স্টেফন স্যামুয়েল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।