শ্রিংলার সফরে বাংলাদেশ তিস্তা, এনআরসি, সিএএ প্রসঙ্গ তোলেনি: ভারত

0

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা প্রসঙ্গ তোলা হয়নি। ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) নিয়েও কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

করোনাকালে একেবারে আচমকাই দুই দিনের সফরে ১৮-১৯ আগস্ট শ্রিংলা বাংলাদেশ সফর করেন। সেখানে তিনি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে তিস্তা, এনআরসি ও সিএএর অবতারণা শেখ হাসিনা করেছিলেন কি না, তা জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র বলেন, ওই বিষয়গুলো ওঠেনি।

মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পররাষ্ট্রসচিব শ্রিংলা কোভিড প্রতিষেধক উদ্ভাবন ও তা বণ্টনের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। ঠিক হয়েছে, দুই পক্ষই এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়গুলো এই সফরে আলোচিত হয়েছে বলে মুখপাত্র জানান। তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী পাইপলাইন, আখাউড়া-আগরতলা, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ও খুলনা-মোংলা রেললাইনের কাজ আগামী বছর শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ পরামর্শদাতা কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক ডাকা হবে। চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের এক কমিটিও গঠন করা হবে। এই সফরে নিরাপত্তা, সীমান্ত অপরাধ বন্ধ, কাঁটাতারের বেড়া ও রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবর্তন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে মুখপাত্র জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। মুখপাত্র বলেন, ভারতে আটক তাবলিগ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। বাকিদেরও দ্রুত ফেরানো হবে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল শুরুর প্রস্তাবে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বহুমাত্রিক অগ্রগতির প্রসঙ্গে উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, এই সফর আরও একবার প্রমাণ করেছে যে ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশের স্থান কতটা আগে।

অনুরাগ শ্রীবাস্তব এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করার কথা বলে তিনি জানান, এ উপলক্ষে দুই দেশ যুগ্মভাবে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com