ভারতকে চতুর্মুখী চাপে রেখেছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সোমবার ভারতের মোকাবেলায় তার সরকারের চার দফা কৌশলের ব্যাখ্যা করে জোর দিয়ে বলেছেন যে পরিবর্তনশীল বিশ্বে আন্তর্জাতিক কাঠামোর দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে জাতীয় শক্তির ওপর বেশি নির্ভরশীল হওয়াই ভালো।
ইসলামাবাদ পলিসি ইনস্টিউট (আইপিআই) আয়োজিত ‘অ্যানেক্সেশন অব অকুপাইড জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির: লেশন্স ফর রিজিওন্যাল সিকিউরিটি; শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন দুনিয়ায় সাহসিতকার সাথে এগিয়ে যাব না পরাজিত হব, তা আমাদের ওপর নির্ভর করছে। আমাদেরকেই বাছাই করে নিতে হবে।
এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন।
তিনি বলেন, বিশ্ব এখন অনেক বেশি অনিশ্চিত, অনেক কম অননুমেয়ে, হয়তো অনেক বেশি অকার্যকর।
আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক আইন প্রত্যাশামতো কাজে আসতে না পারে উল্লেখ করে কোরেশি বলেন, ওইসব কাঠামোর দিকে না তাকিয়ে দেশকে নিজের শক্তির ওর বেশি নির্ভরশীল হতে হবে।
ভারতের সম্প্রসারণশীল নীলনক্সা মোকাবেলায় পাকিস্তান সরকারের কৌশল ব্যাখ্যা করে বলেন, চার দফা কৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো হলো ভারতের ইচ্ছা প্রতিরোধ করা, উন্মোচিত করা; সামরিক প্রস্তুতির মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি; ভারতের পদক্ষেপে নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হওয়া এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আঞ্চলিক একীভূতকরণ অব্যাহত রাখা। সার্ক আবার চাঙ্গা করার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
মানবাধিকার মন্ত্রী ড. শিরিন মাজারি তার দেশের কূটনীতিতে যেসব ঘাটতি আছে, তার তালিকা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক গতিশীলতার দিকেই বেশি নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে নারী ও শিশুদের দুর্ভোগের বিষয়টি আগ্রাসীভাবে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা কাশ্মীরী নারীদের দুর্ভোগের বিষয়টি নারী সংস্থাগুলোকে তেমনভাবে জানাইনি।
কাশ্মীর বিরোধের সম্ভাব্য সামাধানের পথ হিসেবে তিনি ১৯৯৮ সালের ‘গুড ফ্রাইডে এগ্রিমেন্ট’ মডেল অনুসরণের প্রস্তাব দেন। এই চুক্তি উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিবদমান সব পক্ষকে একত্রিত করে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিলো।
এত পাকিস্তানিরা ছাড়াও ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর, চীন, ইরান, তুরস্ক, বাংলাদেশ ও নেপালের বিশেষজ্ঞ ও থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।