যে কারণে ভারতে আগামী ৫ বছরে আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা!
মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। আর করোনা পরিস্থিতি দিন দিন যত ভয়ঙ্কর হচ্ছে, ততই ব্যাহত হচ্ছে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সেবা। লকডাউন, উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব বা বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কারণে এইডস, যক্ষা বা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা যথা সময়ে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কারণে অধিকাংশ ক্যানসার আক্রান্তই ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অনিয়মের কারণে করোনা মহামারিতে বিপদ বাড়ছে ক্যানসার রোগীদের। যার স্বাভাবিক ফল হিসবে বাড়তে পারে মৃত্যুর হারও। এর মধ্যেই ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ’র (ICMR) একটি সমীক্ষার রিপোর্ট দুশ্চিন্তা বাড়াল।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে আশঙ্কাজনক হারে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে। ICMR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে ভারতে মোট ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৯০ হাজার। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটিতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে এই রিপোর্টে।
অর্থাৎ, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ICMR-এর রিপোর্ট।
ICMR-এর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভবিষ্যতে ভারতের মোট ক্যানসার আক্রান্তের ২৭.১ শতাংশই ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে এই রোগের কবলে পড়বেন। উত্তরপূর্ব ভারতে তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ফলে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে মোট ক্যানসারে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করান। আর মোট ক্যানসারে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৩৩ শতাংশ রোগী যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র পরিবারের সদস্য। তারা সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপরেই নির্ভরশীল চিকিৎসার জন্য। ICMR-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় সর্বস্তরেই ক্যানসারের প্রকোপ বাড়তে পারে আগামী পাঁচ বছরে।