পাঁচবার সিগারেট খাওয়া তরুণদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি
যেসব তরুণ দিনে কমপক্ষে পাঁচবার ধূমপান করেন কিংবা ই-সিগারেট খান তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন।
প্রায় সাড়ে চার হাজার তরুণ-তরুণীর ওপর জরিপ চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের সঙ্গে ধূমপায়ীদের করোনায় আক্রান্তের পার্থক্য কেমন সেটি জানতে এই জরিপ চালানো হয়।
‘আমরা অবাক,’ জরিপের ফলাফল নিয়ে বনি হাল্পার্ন-ফেলার এনবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা কিছু একটা সম্পর্ক থাকার আশা করেছিলাম। কিন্তু এমন ফলাফল পাবো ভাবনায় ছিল না।’
জরিপে অংশ নেয়া তরুণ-তরুণীদের বয়স ছিল ১৩-২৪ বছরের মধ্যে।
কভিড-১৯ এ সংক্রমিত হওয়ার সঙ্গে ধূমপানের কী সম্পর্ক, সেটি এখনো অজানা। তবে গবেষকেরা বলছেন, ধোয়া ফুসফুসের ক্ষতি করে। এরপর সিগারেট টানার সময় বাইরের পরিবেশ থেকেও ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যারা ধূমপান করেন তাদের কভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি হবার সম্ভাবনা আছে।
এর কারণ হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সিগারেট খাবার সময় হাতের আঙুলগুলো ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে এবং এর ফলে হাতে (বা সিগারেটের গায়ে) লেগে থাকা ভাইরাস মুখে চলে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা হুঁকো বা শিশায় ধূমপান করেন তারা অনেক সময় একাধিক লোক মিলে একটি হুঁকো বা নল ব্যবহার করেন- যার মাধ্যমে খুব সহজেই কভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তা ছাড়া যেসব অসুখে রোগীর শরীরে বেশি অক্সিজেন দরকার হয়, বা অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়- সেগুলো মানবদেহে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক একটি দাতব্য সংস্থা অ্যাশের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা আর্নট বলছেন, যারা ধূমপান করেন তাদের উচিত করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান কমিয়ে ফেলা কিংবা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া।