আলাউদ্দিন আলী বাংলা সংগীতে আলাদা ঢং তৈরি করেছেন: ডা. জাফরুল্লাহ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এক বার্তায় তিনি বলেন, আলাউদ্দিন আলী লোকজ ও ধ্রুপদি গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে আলাদা ঢং তৈরি করেছেন।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আলাউদ্দিন আলী। তিনি দীর্ঘদিন ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন।
সোমবার এক শোক বার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “আমি শোকাহত। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে গানের অঙ্গনে এ খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি দীর্ঘ চার দশক বহু জনপ্রিয় বাংলা গান বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তৈরি করে গেছেন।”
আরও বলেন, “আলাউদ্দিন আলী লোকজ ও ধ্রুপদি গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে আলাদা ঢং তৈরি করেছেন। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বাংলাদেশের গানের জগতে তার কর্মগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকবে।“
দেশের এ গুণী ব্যক্তির রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবার, গুনগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সমবেদনা জানিয়েছেন।
সাতবার সংগীত পরিচালক ও একবার গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন আলাউদ্দিন আলী।
আলাউদ্দিন আলীর উল্লেখযোগ্য গান হলো: সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়, এই দুনিয়া এখন তো আর, আছেন আমার মোক্তার, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, চোখের নজর এমনি কইরা, এমনও তো প্রেম হয়, কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিলো না, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, দু:খ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, বাবা বলে গেলো আর কোনোদিন, ভেঙেছে পিঞ্জর, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, আমায় গেঁথে দাও না মাগো, আমি আছি থাকবো, তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া, এ সুখের নেই কোনো সীমানা, বৃষ্টিরে বৃষ্টি আয়না জোরে, কিছু কিছু মানুষের জীবনে এবং ইস্টিশনের রেলগাড়িটা।