আর কোনো বিচারবর্হিভূত হত্যা চাই না: ছাত্র অধিকার পরিষদ
‘সারা দেশে ওসি প্রদীপরা রাজত্ব করছে, রাষ্ট্রের ছত্রছায়ার তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। গত ২২ মাসে টেকনাফে ওসি প্রদীপের হাতে ১৪৪টি ক্রসফায়ারে ২০৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এরপরও কি সেখানে ইয়াবা, গাঁজা, মাদক সেবন বা বিক্রি কমেছে? না কমেনি। এখন রাষ্ট্রের সিস্টেম পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা দেশে আর কোনো বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। ’
শনিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব মন্তব্য করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘ওসি প্রদীপ গত মাসে টেকনাফে ১৪৪টি ক্রসফায়ারে ২০৪ জনকে হত্যা করেছে। মেজর সিনহার হত্যার বিচার করার পাশাপাশি বাকি ২০৩ জন হত্যার তদন্তও করতে হবে। মেজর সিনহাকে হত্যার পরপরই আমরা এটা নিয়ে তদন্ত করি অথচ কিছু মিডিয়ায় নিউজ হলেও পরে নিউজ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। মেজর সিনহার পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আরও তথ্য জোগাড় করে আমরা দেশব্যাপী এটা ছড়িয়ে দেই। আমরা একের পর এক নিউজ করতে থাকায় সরকার এটা নিয়ে কাজ শুরু করে। ’
রাশেদ খান বলেন, ‘এদেশে শুধু প্রদীপের মতো নেশাগ্রস্ত, দুর্নীতিবাজ লোক নেই, কিছু ভালো মানুষও আছে। কিন্তু তাদের চাকরি থেকে ওএসডি করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের সময় মেজর সিনহা কক্সবাজারে দায়িত্বে ছিলেন। হয়তো সেসময় কোনো দুর্নীতিবাজের সঙ্গে আপস না করায় সেটাই কাল হলো। রাষ্ট্রের সংস্কার জরুরি, প্রতিটি সেক্টরে প্রদীপরা রাজত্ব করছে। আমরা আর কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। ’
তিনি বলেন, ‘ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে এতগুলো প্রাণ ঝরলো এরপরও কি মাদক কমেছে? না একটুও কমেনি তারা মাদকের মূল হোতাকে না ধরে জনসাধারণকে হয়রানি করে। ওসি প্রদীপের সঙ্গে আমরা বদির ঘনিষ্ঠতা দেখেছি। আমরা কোনো প্রদীপের বিরুদ্ধে না, যখন যে অনিয়ম হবে তার বিরুদ্ধেই ছাত্র অধিকার প্রতিবাদ জানাবে, আন্দোলন করবে। ’
এসময় যুব অধিকার ফোরামের সমন্বয়ক আবু তৈয়ব হাবিলদার, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, তারেক রহমান, জিল্লু খানসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।