নমুনা টেস্টে প্রতি ১০০ জনের ৩২ জনই করোনায় আক্রান্ত
নানা কারণে দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কমলেও সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় শনাক্ত হারে ব্যাপক উঠতি দেখা গেছে। এই সময়ে যে কয়টা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসার হার প্রায় ৩২ শতাংশ।
কভিড-১৯ নিয়ে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, এদিন সকাল আটটা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪ হাজার ২৩৮টি। আগের দিনেরসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪ হাজার ২৪৯টি। তাতে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৩৫৬ জনের শরীরে।
চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের শতকরা হার ৩১.৯১ শতাংশ, দেশে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্ত হারের ঘটনা।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৩ শতাংশ। ৭ জনের পরীক্ষা করে ৩ জন শনাক্ত করা হয়েছিল। এরপর সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত দেখল দেশ।
করোনার লক্ষণ দেখা মাত্রই জনসাধারণকে নমুনা পরীক্ষা করাতে বুলেটিনের সময় অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
“তথ্য পরিবেশনের আগে অনুরোধ করব, আপনাদের যেকোনো ধরনের লক্ষণ উপসর্গ থাকলেই অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করার জন্য আসবেন এবং নমুনা পরীক্ষা করাবেন। নমুনা পরীক্ষা করার মাধ্যমেই আমরা কভিড-১৯ কে শনাক্ত করতে পারি, প্রতিরোধ করতে পারি এবং যারা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আছেন তাদেরও শনাক্ত পরতে পারি।”
“আপনাদের সহায়তা ছাড়া এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়। আমরা যেমন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলব, তেমন নমুনা পরীক্ষা করাতেও সবাইকে সহায়তা করতে হবে। যাদের অবশ্যই নমুনা করা দরকার, একদম থানা পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ সব জায়গায় নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে আপনারা নমুনা পরীক্ষা করাবেন।”
চব্বিশ ঘণ্টায় তেরোশো জনের বেশি শনাক্ত ধরা পড়ায় দেশে সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন।
নতুন করে ৩০ জনসহ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩ হাজার ১৮৪ জনের। ১ হাজার ৬৬ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জন।
চব্বিশ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৬.৯৬ শতাংশ।