বন্যাকবলিত ৩৩ জেলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ জন
দেশে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩৩টি জেলা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ১৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এবং ৯ হাজার ২২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। গো খাদ্য কেনার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার এবং এখন পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯২২ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং এখন পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মজুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে- ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৯টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০১৯টি। পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ জন। বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩ জন। এরমধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে একজন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, সিলেটে একজন, কুড়িগ্রামে ৯ জন, টাঙ্গাইলে ৪ জন, মানিকগঞ্জে দুজন, মুন্সিগঞ্জে একজন, গাইবান্ধায় একজন, নওগাঁয় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন এবং গোপালগঞ্জে দুজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বন্যা কবলিত জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৩টি। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪০৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৬টি। বন্যাকবলিত জেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৬৭টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৯৯টি।