“বন্দী সময়ের চিৎকার”
শুক্রবার, ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ “বন্দী সময়ের চিৎকার।” ঢাকার বিভিন্না ঘরানার অ্যাক্টিভিস্ট, শিল্পী , কবি ও সংগঠকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে অংশ নেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। গান , কবিতা, নাটক, ছবি ও ইন্সটলমেন্টে ফুটিয়ে তোলা হয় বন্দী সময়ের কথকতা।
উক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দী কার্টুনিস্ট কিশোর, সংগঠক দিদার, সাংবাদিক কাজল, শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, বাউল শিল্পী শরিয়ত বয়াতির ইন্সটলমেণ্ট প্রদর্শিত হয়।
এছাড়াও , করোনা মহামারির মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ, বিভিন্ন শিল্প কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই, স্বাস্থ্যব্যবস্থার নজিরবিহীন দুর্দশা , দুর্নীতি ও লুটপাট সহ দেশের সার্বিক রাজনৈতিক সংকট বিশেষ মনোযোগ পায়।
এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে অংশ নেন : সমগীত, বটতলা , থিয়েটার বায়ান্ন , উদীচী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা।
উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফার শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা, শিল্পী অমল আকাশ, বীথি ঘোষ , শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, লেখক রাখাল রাহা, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মী, ছাত্র ইউনিয়ন , বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মী, রাষ্ট্রচিন্তা সহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায় , মানুষের হৃত বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শিল্পের স্বাধীনতা , জীবনের অধিকার-জীবিকার অধিকার , জৈবিক ও রাজনৈতিক শ্বাস নিতে পারার অধিকার সহ সার্বিকভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই সংঘবদ্ধ হয়েছেন কবি-গায়ক-শিল্পী-কার্টুনিস্ট-বাউল-নাট্যকর্মী সহ শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘরানার মানুষেরা। গান-কবিতা-ছবি-নাটক ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন এই বন্দী সময়।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, ইণ্ডিভিজুয়াল আর্টিস্টরা “বন্দী সময়ের চিৎকার” শিরোনামের এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে অংশ নেন। বিকাল ৪ টায় শুরু হয়ে তিন ঘন্টাব্যাপী এই আয়োজন চলে। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে একটি গানের মিছিল শাহবাগ থেকে টিএসসি ঘুরে এসে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে শেষ হয়।
দেশের এই সংকটের সময়ে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই আয়োজন বলেও জানানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।।