কুরবানীর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি আলেমদের
ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন কওমী মাদরাসাসমুহের শীর্ষ সংস্থা আলহাইআতুল উলয়া লিল জামআতিল কওমিয়ার শীর্ষ আলেমরা।
তাঁরা বলেছেন, কোরবানীর পশুর চামড়া অসহায় গরীব এতিমদের হক। অথচ এক শ্রেনীর ব্যবসায়রীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়ার দাম কমিয়ে গরীব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার সকালে হাইআতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় শীর্ষ আলেমরা এই দাবি জানিয়েছেন বলে সংস্থাটির দফতর সম্পাদক মু. অছিউর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সভায় শীর্ষ আলেমরা প্রধামমন্ত্রীর নিকট ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কুরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেছেন, কুরবানীর ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, কুরবানীর পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় ট্যানারি মালিক সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠছে। গত বছর দেশের বহু এলাকায় চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে স্থানীয় জনগণ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলে, আগুনে পুড়িয়ে ও পানিতে ফেলে প্রতিবাদ করেছে। এ বছর যদি ঈদের আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীগণ চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্তির অন্যতম শিল্প ধ্বংস হবে।
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতী মো. ওয়াক্কাস, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতী শাসমুদ্দীন জিয়া, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা মুহিব্বুল হক, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মুফতি মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতী নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা উসামা আমীন এবং আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল, মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগেই কওমী মাদরাসা সমুহ খুলে দেয়ার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সরকারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয়। এজন্য সভায় একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদরাসা খোলার পর তাৎক্ষণিক বৈঠকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এ কমিটি।