প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে এসব মামলাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিন
ড.আসিফ নজরুল
মোবাইল ফোনে নতুন কর বসানোয় ক্ষুদ্ধ হয়েছিল ১৫ বছরের একটা ছেলে। ক্ষোভ থেকে সে প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখ করে ফেসবুকে একটা মন্তব্য করে। এরচেয়ে ১০০ গুন বাজে কথা ট্রাম্প, বরিস জনসন এমনকি মোদীকে নিয়ে বলে তাদের দেশের মানুষ। কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়না সেসব দেশে।
কিন্তু বাংলাদেশে হয়। সেও আবার কুখ্যাত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে! যারা মামলা করেন তারা প্রধানমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।আসুন আমরা চিন্তা করে দেখি কিসে আসলে উনার মানহানি হয়?
প্রথমত: ১৫ বছরের ছেলেটার মন্তব্যটি অতি সামান্য কিছু মানুষ ছাড়া জানতেই পারতো না মামলা না হলে। কিন্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার করার পর মন্তব্যটা বিভিন্নজন উল্লেখ করেছে, অনেক বেশী মানুষ তা পড়েছে। মন্তব্যটি অনেকের কাছে কিছুটা অরুচিকর বা অপরিণত মনে হতে পারে। কিন্তু নিশ্চয় তারা এটা ভেবে অবাক হয়েছে যে এতে মামলা দেয়ার মতো ছিলোটা কি!
সবচেয়ে যা উল্লেখযোগ্য এটি নিয়ে সংবাদ হয়েছে আন্তজাতিক গনমাধ্যমে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
আমার প্রশ্ন কোনটাতে প্রধানমন্ত্রীর মানহানি হলো তাহলে? একটা বাচ্চা ছেলের পোষ্টে নাকি বিশ্বব্যাপী মামলাটির খবর প্রচারে, এর প্রতি পৃথিবীর সবচেয়ে নামী মানবাধিকার সংগঠনের নিন্দায়?
আওয়ামী লীগের যেসব লোকজন এসব মামলা দেন তাদেরকে বলি আপনাদের দলে যারা দূনীতি, সন্ত্রাস আর অন্যায় করে পারলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। প্রধানমন্ত্রীর আর বঙ্গবন্ধুর দলের নাম ডোবানো এসব মানুষকে নেতা মানবেন আর কেউ একজন সামান্য কথা বললে প্রধানমন্ত্রীর মানহানি হলো বলে মামলা ঠুকে দেন-এরচেয়ে বড় হিপোক্র্যাসি আর কি হতে পারে?
প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, এসব মামলাবাজি বন্ধের নিদেশ দিন।