ত্রাণ চোরদের ‘ক্রসফায়ার’ চান আওয়ামী লীগ নেতা সুজন
করোনা মহাদুর্যোগের মধ্যেও সারাদেশে চাল চুরির হিড়িক পড়েছে। লকডাউনে বিপাকে পড়া হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকার সারাদেশে ত্রাণের চাল বরাদ্দ দিয়েছে। সরকারের বরাদ্দ দেয়া চাল ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কিছু অসাধু নেতার যোগসাজসে চুরির অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশেও বন্ধ হচ্ছে না চাল চুরি। এবার ত্রাণের চাল চুরিতে জড়িতদের ‘ক্রসফায়ারে’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা।
গত রবিবার রাতে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন এ আহ্বান জানান। সোমবার সুজনের নেতৃত্বাধীন সামাজিক সংগঠন ‘নাগরিক উদ্যাগ’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামবাসীর নাগরিক সংকট নিয়ে সোচ্চার এই আওয়ামী লীগ নেতা ঘরবন্দী অবস্থায় প্রতিদিন ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে মতবিনিময় করে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন।মতবিনিময়ের সময় সুজন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দিয়ে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।’
‘কিন্তু সরকারের এসব কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি-বিশেষের সরকারি ত্রাণের চাল চুরি ও আত্মসাতের ঘটনায়। এটা এক বালতি দুধে এক ফোঁটা লেবুর রস দেওয়ার মতো। সরকারি ত্রাণের চাল চুরির মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, সে যেই হোক, তাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হোক। মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই’, বলেন তিনি।
সুজন আরও বলেন, ‘কিছুদিন ধরে খবর পাচ্ছি, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য রাতের আঁধারে বাইরে পাচার হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝে মাঝে কিছু ধরা পড়ে। এই পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তদন্ত করে তাদের নাম-পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হোক।’ করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যে ঘরবন্দী মানুষকে মশার অত্যাচার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের মেয়রের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন সুজন।