মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী: রিজভী

0

মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী ফেলেছে জানিয়ে দেশের আর্থিক খাত এখন শুন্যের মধ্যে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, অনিয়ম, অপচয়, দুর্নীতি আর মূল্যবৃদ্ধির এই ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে জনজীবনে যে হতাশা, অশান্তি ও নৈরাজ্য নেমে এসেছে সেটিকে কার্পেটের নীচে ঢেকে রাখতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য জুলুমের মাত্রাকে তিনি তীব্র করেছেন বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে স্তব্ধ করার জন্য। আওয়ামী লীগ যেন এমনই ‘ওয়াশিং মেশিন’ যে এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী এবং মহাদুর্নীতিবাজরা সাফসুতরো হয়ে যায়।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী কোন অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম-নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শুন্যের মধ্যে ঝুলছে। যেকোন সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী। মানুষের মনোযোগকে ধুসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবিরাম বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথাবলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে। ডামি সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে কারাগারকে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে রোববার পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রীয় পেশীশক্তির জোরে চলছে বিরোধী দল দমনের কর্মসূচি। তারপরেও টলিয়ে দেয়া যায়নি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীরদের দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মতো একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বর্তমান সরকারসৃষ্ট নৈরাজ্যের চরম দৃষ্টান্ত। সরকারের চোখ রাঙানীর বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণ থেকে সরানো যায় না বলেই ইশরাককে কারাবন্দী করা হয়েছে। দখলদার সরকার কন্ঠের স্বাধীনতা সীমায়িত করতে অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও জেগে উঠছে বাংলাদেশ। মানুষের ক্ষোভের আগুনে ফ্যাসিবাদ ছাই হয়ে যাবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com