ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে ইউপি সদস্যের হামলার শিকার বিধবা
‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর দেয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম। সেই টাকা ফেরত চায়লে বাহিনী নিয়ে এক বিধবাকে মারপিট করেন ওই ইউপি সদস্য। আবার মারপিটের শিকার ওই বিধবার বিরুদ্ধেই থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।
আহত জামেলা বেগম তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি তালার খলিলনগর ইউনিয়নের গোনালী নলতা গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম গাজীর স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামেলা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এক মাস আগে মহিলা মেম্বার ঝর্ণা বেগম সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকা চায়। সে জানায়, তুমি গরিব মানুষ ৩০ হাজার টাকা দিলে তোমার একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেব। প্রলোভনে পড়ে আমি ১০ হাজার টাকা তাকে দিয়েছি। পরে বিভিন্নভাবে জানতে পারি প্রধানমন্ত্রীর এ ঘর নিতে কোনো টাকা লাগে না। তখন আমি মেম্বারের কাছে আমার টাকা ফেরত চাই। তখন সে রাগান্বিত হয়ে যায়। গত (৩১ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে আমার বাড়িতে দলবল নিয়ে এসে বেপরোয়া মারপিট করে। তারপর থেকেই তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। থানায় জানিয়েছি কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছে ওই মেম্বার।
অভিযোগের বিষয়ে সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম বলেন, জামেলা বেগম অসহায় মানুষ। তার বিধবা কার্ড করে দেয়ার জন্য আমি অনুরোধ করেছি। ঘর দেয়ার নাম করে আমি টাকা নেইনি।
মারপিট করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাস্তায় ফেলে আমাকে অপমান করার কারণে আমার লোকজন তাকে মারপিট করেছে। থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়রি করে রেখেছি।
খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, টাকা চাওয়া বা নেয়ার বিষয়টি আমি জানি না। জামেলা বেগমের সঙ্গে মহিলা মেম্বারের মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। জামেলা বেগম এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, আমি এখনো জামেলা বেগমের কোনো অভিযোগ পাইনি। মহিলা মেম্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। ঘটনাটি তুচ্ছ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।