নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা চলছে, কখনও জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা চলছে। কখনও ডিসেম্বর কখনও জুন কখনও মার্চ বলে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘যে দল ৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারা গণপরিষদ চাইতে পারে; কিন্তু যেসব ছেলেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে তারা কার ইন্ধনে বা নির্দেশে গণপরিষদ চায় এটাই আমার প্রশ্ন। গণপরিষদ তো হয় বিচ্ছিন্ন কোনও দেশের ক্ষেত্রে, কিন্তু ২৪ সালে তো দেশ স্বাধীন হয়নি, স্বাধীনতা তো অর্জিত হয়েছে ১৯৭১ সালে।’
শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই এলাকায় তারেক রহমানের নির্দেশে অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছেন তাদের বিচার আমরাও চাই, কিন্তু সে বিচার করতে কত কয় বছর লাগবে? এক থেকে দেড় বছরেই তো বিচার করা সম্ভব, কিন্তু তারা সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন।’
শেখ হাসিনা বারবার পালিয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা একবার মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আর একবার পচাত্তরের পরে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এতই যদি আপনার সাহস থাকতো তাহলে আপনি আপনার বাবা ও পরিবারের হত্যাকাণ্ডের পরে দেশে আসতে পারতেন। আপনি আসেননি, আপনাকে যখন দেশে আসার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে তখন আপনি দেশে এসেছেন। মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন যখন আসলো তখন আপনি পালিয়ে গেলেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেন। কথা ছিল বেগম জিয়াকে দেশ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন তা পারেনি।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া জনগণের নেত্রী, এদেশের মা মাটির নেত্রী, এদেশের তৃণমূল থেকে বেগম জিয়ার নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। তাই জনগন ও দেশকে ছেড়ে তিনি কখনোই পালিয়ে যাননি। কোন হুমকি তাকে দমিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের দেওয়া মিথ্যা মামলায় জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তবুও তিনি এদেশের গনতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। দেশ ও জনগণের পাশে রয়েছেন।