করোনা আতঙ্কের মধ্যে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, লুটপাটের অভিযোগ
সারাদেশ যখন করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ঠিক তখন ফরিদপুরে সালথা ও বোয়ালমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেযারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মোল্লার দুই পক্ষের দুই সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি থেকে এ সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের কয়েক শত সমর্থক বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র ও ইট নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত আটটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের গবাদী পশুর খাবারের খড়ের গাদায় এবং পাটখড়ির গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে সালথা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনার ব্যপারে বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
অপরদিকে, বোয়ালমারী উপজেলায় ময়না ইউনিয়নের বেলজানি গ্রামে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি বেলজানি গ্রামের জিন্নাহ মাতুব্বর ও সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন মাত্বব্বরের মধ্যে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলাউদ্দিনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে জিন্নাহ মাতুব্বরের পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় জিন্নাহ মাতুব্বরের ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক আহত হয়। এর পাল্টা হিসেবে বুধবার সকালে জিন্নাহ’র সমর্থকরা আলাউদ্দিন সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে জিন্নাহ সমর্থক ইমাম হোসেন (৩০) ও বায়েজিদ সিকদারকে (২৬) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আনসার বিশ্বাসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।