করোনায় মৃত্যুতে দাফনে বাধা, মুসলিম বৃদ্ধের লাশ দাহ!
করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাই কেউ দাফন করতে না দেয়ায় ভারতে দাহ করা হল এক মুলসিম বৃদ্ধকে। কবরস্থান কমিটি সেই বৃদ্ধের পরিবারকে দেহ কবর দিতে অনুমতি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দাহ করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের এমনটাই অভিযোগ। মুম্বাই শহরতলির মালাডের এ ঘটনা ঘিরে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
জানা গেছে, মৃত সেই বৃদ্ধ মালাড মালওয়ানির বাসিন্দা। যোগেশ্বরীর (Jogeshwari) এক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মালাডের এই কবরস্থানে বুধবার দেহ নিয়ে যাওয়া হলে কবর দিতে বাধা দেওয়া হয়। যুক্তি দেখানো হয়েছিল, করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু। তাই কবর দেওয়া যাবে না। পুরসভা অনুমতি থাকলেও, বাধা দেওয়া হয় ওই পরিবারকে বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানা ও রাজনীতিবিদরাও অনুমতি এনে দিতে পারেনি।
এরপর কয়েকজন সমকর্মী স্থানীয় হিন্দু সৎকার সমিতির দ্বারস্থ হলে, তারা শ্মশানে দাহ করার অনুমতি দেয়। সব প্রক্রিয়া সেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। এ বিষয়ে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক আসলাম শেখ বলেছেন, ‘সরকারি নির্দেশে বলা আছে, করোনা সংক্রমণে কোনও মুলসিম নাগরিকের মৃত্যু হলে তাকে কাছের কোনও স্থানে কবর দিতে হবে।’
কিন্তু এই পরিবারের ক্ষেত্রে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছিল। কাউকে না জানিয়ে, সেই দেহ নিয়ে সোজা মালওয়ানির সেই কবরস্থানে চলে গিয়েছিল মৃতের পরিবার। এমনকি, জানত না কবরস্থান কমিটি। ফলে এই অসুবিধা।
যদিও অন্য কথা বলছে মৃতের ছেলে। তার অভিযোগ, ‘আমি বাবার দেহ নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি কেউ সাহায্য করতে আসেনি। আমরা চেয়েছিলাম মালাড-মালওয়ানি কবরস্থানে সৎকার করতে। কিন্তু কবরস্থান কমিটি সৎকারে অনুমতি দেয়নি। বলা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণে মৃত্যু, তাই কবর দেওয়া যাবে না।’
যদিও, স্থানীয় বিধায়কের সুর শোনা গেছে কাউন্সিলরের গলাতে। তার দাবি, ‘পুরসভার কর্মীরা জানতেন, করোনায় কোনও মুসলিমের মৃত্যু হলে স্থানীয় স্থানে কবর দিতে হবে। সেখানে কীভাবে যোগেশ্বরী থেকে মালাড আনা হল দেহ।’