বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা
মরণঘাতী করোনাভাইরাসে ৩৭ হাজার ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৩২ জন। সারাবিশ্বে ৮১ শতাংশ মানুষ এই রোগে সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৩ জন চিকিৎসাধীন ও ২৯ হাজার ৪৮৮ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। মারা যাওয়ার হার ১৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১৯৮। বিশ্ব পরিসংখ্যান ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটার মিটার এ তথ্য জানায়। সর্বশেষ আক্রান্ত সংখ্যা সারাবিশ্বে মোট ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৪ জন।
এদিকে ইউরোপের দেশগুলো আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতি চলছে ইতালিতে। ইতালিতে ২৯ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৩৯ জন। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫০। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতালিকে ছাড়িয়ে গেলেও মৃতের সংখ্যায় এখনো শীর্ষে ।
তারপর আক্রান্তের সংখ্যায় পিছিয়ে নেই স্পেনও। দেশটিতে আক্রান্ত ৮৫ হাজার ১৯৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ৫ হাজার ৮৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ৬৬ হাজার ১২৫ জন। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৫৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে মোট আক্রান্ত ২২ হাজার ১৪১, সুইজারল্যান্ডে ১৫ হাজার ৭৬০ জন। আর আক্রান্তের দিক দিয়ে দশ নম্বর দেশটি হলো বেলজিয়াম। যেখানে মোট আক্রান্ত ১১ হাজার ৮৯৯ জন।
ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত মোট ৮১ হাজার ৪৭০ জন ও নতুন আক্রান্ত ৩১ জন।
এই ভাইরাসের ভয়াবহতা দেখে ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( ডাব্লিউএইচও) কোভিড-১৯কে বিশ্ব মহামারি বলে ঘোষণা করেছে।
এদিকে ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৯৫ জন। তুরস্কে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ৮২৭ জন। সিরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৯ জন। ইসরাইলে আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৯৫ জন। ইরাকে আক্রান্ত ৬৩০ জন ও আফগানিস্তানে ১৭০ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে।
আর বাংলাদেশ আক্রান্তের দিক দিয়ে রয়েছে ১১৮ নম্বরে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৪৯ জন। পাকিস্তানে মোট এক হাজার ৬৯০ জন ও ভারতে আক্রান্ত এক হাজার ২৫১ জন। জাপানে এক হাজার ৮৬৬ জন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নেপাল ও ভুটানে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে মাত্র পাঁচ ও চার জন।
এছাড়াও অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৯ হাজার ৬৬১, অস্ট্রেলিয়ায় ৪ হাজার ২৪৫ জন, ব্রাজিলে ৪ হাজার ৩৭১, সাউথ আফ্রিকায় এক হাজার ৩২৬, আর্জেন্টিনায় ৮২০, কাতারে ৬৯৩, মিশরে ৬৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তের দিক দিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের কিছু দেশ। পাপুয়া নিউ গিনি, সেন্ট ভিনসেন্ট গ্রেনাডাইনস, তিমুর এই তিনটি দেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সনাক্ত হয়েছে মাত্র এক জন।
তবে থেমে নেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২০০টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত এই ভাইরাসে। দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে এই সংখ্যা। যদিও সুস্থও হচ্ছেন অনেকে।