ভারতের সীমিত যুদ্ধ সক্ষমতায় করোনাভাইরাসের কঠিন আঘাত
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের পদাতিক ও নৌবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম ক্রয়বিষয়ক কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয় যে কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তারা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের দরপত্র দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগ্রহীদের অনুরোধের কারণে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা মার্চ/এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে আগামী মে করা হয়েছে।
ভারতের সেনাবাহিনী মানুষের বহনযোগ্য অস্ত্র, অ্যাসাল্ট রাইফেল, হালকা মেশিন গান, সাজোয়া যান ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের দরপত্র ছেড়েছিল। দেশটির সীমতি যুদ্ধ সক্ষমতার জন্য এটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় শত্রুর ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য এসব অস্ত্র খুবই দরকারি বলে বিবেচিত হয়ে আসছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ফলে দরপত্র-সংশ্লিষ্ট বৈঠকে যোগদান করা সামরিক কর্মকর্তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
ভারতে ক্যান্টনমেন্ট ও সামরিক স্টেশনগুলোতে চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী নতুন করে নির্দেশ জারি করেছে সব সামরিক এস্টাবলিশমেন্ট, ক্যান্টনমেন্ট, ফরমেশনগুলোর ওপর।
এতে বলা হয়, কেবল দৈনন্দিন অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলো করা যাবে। বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করতে হবে। রুটিন সভা ও চলাচলে বিধিনিষেধ থাকবে।
গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছিল। ভারতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৯২টি করোনাভাইরাস আক্রান্ত লোক ছিল বলে জানানো হয়েছে।
ভারত সরকার ৩৬টি রাজ্য/টেরিটরির মধ্যে ৩২টি পুরোপুরি লকডাউন করে দিয়েছে।