৮০টি দেশ করোনা মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা চেয়েছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা উল্লেখ করেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী আগের আর্থিক সংকটের চেয়ে এবারের মন্দা আরো খারাপ প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আমরা আশা করছি, ২০২১ সালে এই অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে। সেটি করার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
অর্থনীতির ক্ষতি বহুমাত্রিক হলেও প্রথম কাজ হলো যত দ্রুত সম্ভব ভাইরাসটিকে থামাতে হবে। ইতিমধ্যে ৮০টি দেশ জরুরি সহায়তা চেয়েছে। আমরা সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা করোনা মোকাবিলার জন্য জরুরি তহবিল ছাড়াও ঋণ প্রদানের সক্ষমতা ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছি।’ জি-২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলন আহ্বানের পরে গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা জানান আইএমএফের প্রধান।
এতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট মহামারিতে ইতিমধ্যে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি অপূরণীয়। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিশ্বনেতৃবৃন্দ সচেষ্ট হয়েছেন। বিশ্বের প্রধান প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিসহায়তার মাধ্যমে এগিয়ে আসায় তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘শুধু সুদের হার কমানোই নয়, আর্থিক জোটের মাধ্যমে আরো অনেক কিছুই করতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো খুব দ্রুতই সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে। কিন্তু উদীয়মান দেশ ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
অর্থ পাচার বৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মরাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উদীয়মান দেশগুলোর বিনিয়োগকারীরা সংকট শুরু হওয়ার পর প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ফিরিয়ে নিয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ঋণের সংকট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ে আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্বের অনেক নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ এসডিআর সহায়তা চেয়েছে। সদস্য দেশগুলোর জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে আইএমএফ।’