করোনা সতর্কতায় মুম্বইয়ের ‘শাহীন বাগ’ খালি করলেন আন্দোলনকারীরা
দেশে করোনার পরিস্থিতি বিচার করে এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলন সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল মুম্বই বাগ। ২৫ জানুয়ারি থেকে শাহীন বাগের আদলে মুম্বইতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোক্ষ শুরু করেন ১০০ জন মহিলা। এই নিয়ে তাঁদের আন্দোলন৫৪ দিনে পড়ল।
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের। পুনে, নাগপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে থাবা বসিয়েছে করোনা। সে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৭ । দেশে সর্বোচ্চ। মৃত্যুও হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু অনেকের মধ্যেই লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারির কথা ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারের মহারাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাজের সীমান্ত সিলড করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।
একটি জেলার সঙ্গে আরেকটি জেলারও সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে যে সমস্ত জেলাগুলিতে এখনও করোনা ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি, সেখানে ছড়ানোর সুযোগও তৈরি না হয়। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে সরকার যেভাবে করোনা মোকাবিলা করছে তাতে তারা খুশি। এই ইস্যুতে সরকারের পাশেই রয়েছে সকলে।
যদিও একদিন তাদের ওখানে মাস্ক, হ্যান্ স্যানিটাইজার বিলি হয়। হয়েছে করোনা সতর্কতায় প্রচারও। আন্দোলন বন্ধ হবে কিনা এই নিয়ে আন্দোলকারীদের মধ্যেও প্রথমে বিরোধ ছিল। তারপর তাঁরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অনলাইনে চলবে আন্দোলন। ১৪৪ ধারার মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার মুম্বই পুলিশ সেখান থেকে কিছুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। তবে দুদিন হাজতবাসের পর সোমবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।