বাবা হত্যার আসামি ধরিয়ে দেয়ায় ছেলের কব্জি কাটল ছাত্রলীগ
দীর্ঘ আট বছর আগে খুন হন মেঘনা নদী বিচ্ছিন্ন আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রব মিয়া। ওই ঘটনায় তার বড় ছেলে মাঈনউদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যেই বুক ফুলিয়ে এলাকায় বিচরণ করছিলেন মামলার আসামিরা। অবশেষে থানাপুলিশের একটি দল গত শনিবার মামলার আসামি আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হন তার আত্মীয়স্বজন ও অনুসারীরা।
আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের তিন দিন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে তার আত্মীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী নিহত রব মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষসহ চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এর মধ্যে নিহত রব মিয়ার মেজ ছেলে কলেজছাত্র মো. রনিকে কুপিয়ে হাতের কব্জি দ্বিখন্ডিত করে ফেলে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা না নিয়ে বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনার পর থেকে উল্টো হামলার শিকার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হাতের কব্জি হারানো কলেজছাত্র রনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী এমডব্লিউ কলেজ থেকে আসন্ন এইচএসসির পরীক্ষার্থী।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় বাদীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
তাদের একজনকে কুপিয়ে হাতের কব্জি দ্বিখন্ডিত করে ফেলা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। ওসির দাবি, এ ঘটনায় কলেজছাত্র রনির বোন জোছনা বেগম বাদী হয়ে থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ওই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত বা উপস্থিত ছিলেন না। তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না বলে দাবি করেন।