জিমে যাওয়া ছাড়াই কমিয়ে নিন ভুঁড়ি
কথায় আছে—সিম্পল ইজ স্মার্ট। কিন্তু পেটে মেদ বা চর্বি জমলে আর সাধারণ থাকা যায় না। খেতে বসলে মেপে খেতে হয়, ঘুমাতে গেলে কষ্ট, হাটতেও কত ঝক্কি। কোনো কারণে ছোট্ট একটু দৌড় দিলে বুঝবেন আপনি কতটা আনফিট। ফিটনেস ঠিক রাখতেই এখন যত আযোজন—কেউ টোটকা খান, কেউ যান জিমে, কেউ কেউ তো খাওয়া-দাওয়া বন্ধই করে দেন।
তবে জিমে যাওয়া ছাড়াই চাইলে ভুঁড়ি কমানো যায়। মেদ কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় খাদ্যতালিকা ও জীবনযাপন নিয়ন্ত্রিত করা। চর্বি কাটানোর পাঁচটি উপায় সামনে এনেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সুগার কমানো: পেটের চর্বি কমানোর জন্য সুগার কমানোকে প্রাথমিক কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ জন্য চিনিযুক্ত সব পানীয় পানের পরিবর্তে সাধারণ পানি, মিষ্টি ছাড়া চা-কফি পান এবং কোনো খাবার থেকে অতিরিক্ত চিনি যোগ করার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
প্রোটিন ও ফাইবার গ্রহণ: বলা হয় পুরুষ মানুষের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে তার ভুঁড়ি। তাই পেটের চর্বি কমাতে প্রোটিন ও ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ। এসবে থাকা পুষ্টি উপাদান হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট পূর্ণ রাখে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাসও কমে। পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকার ফলে কিছুক্ষণ পরপর খাবার গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না। এতে ওজন কমানো সহজ হয়।
প্রাকৃতিকভাবে চর্বি কমানোর চেষ্টা: চর্বি কমানোর জন্য প্রাকৃতিক কিছু পানীয় ও খাবার খেতে পারেন। এ জন্য এপিগ্যালোকাটেচিন-৩-গ্যালেট (EGCG) সমৃদ্ধ গ্রিন টি পানের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ওমেগা-৩ অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফ্যাটি মাছ, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, অলিভ ওয়েল ও ক্যাপসাইসিনযুক্ত কাঁচা মরিচ খেতে পারেন। প্রচুর পানিও পান করা উচিত।
৮ ঘণ্টা ঘুমানো: ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। সাত ঘণ্টার কম ঘুম কর্টিসল নিঃসরণকে ট্রিগার করে। এ কারণে চর্বি জমতে থাকে এবং ক্ষুধা হরমোনের মাত্রা বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ওজন কমার পরিবর্তে আরও বৃদ্ধি পায়। তাই স্বাস্থ্য কমাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।